পুনরায় বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট অবকাঠামোতে অগ্রগতির বার্তা দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। নতুন মেয়াদে সভাপতির চেয়ারে বসে পুরোদমে কাজ শুরু করে দিতে চান তিনি। যেখানে প্রথম বোর্ড সভায় পরিচালকদের কাছে তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন পাপন।

পাপনের প্রথম চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম প্রস্তুত করা, ‘আজ শর্ট ব্রিফিংয়ে বলেছি অনেক কাজ বাকি। এতদিন অনেক কাজ করেছি এটা মনে করা হবে ভুল। কারণ এখন আরো কঠিন সময় আসছে। আমাদের প্রথম কাজ হলো শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। এটা আমাদের যত দ্রুত সম্ভব চালু করতে হবে। কারণ আমরা যে আইসিসি ইভেন্টে আবেদন করেছি সেখানে আমাদের এ স্টেডিয়াম দেখানো আছে। এটা ছাড়া কিন্তু আমরা ওই টুর্নামেন্ট পাবো না। তো এটা নাম্বার ওয়ান, টপ প্রায়োরিটি।

পাপনের দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জে কাউন্সিলর বা ভোটার লিস্টে পরিবর্তন, ‘কন্সটিটিউশন, পরিচালকদের বলেছি সংবিধানে কোথায় কী পরিবর্তন আনা যায় তা বলতে বলেছি। পরের বোর্ড মিটিংয়ে তারা পরিবর্তনের মতামত উপস্থাপন করবে। আমার প্রস্তাব হলো– আমাদের এখানে এতগুলা ক্লাব অংশগ্রহণ করে অথচ ক্লাবগুলোর ভোট নাই। এমন সব ভোটারের নাম দেখি ক্রিকেটের সঙ্গে যাদের কোন সম্পর্কই নাই। এখানে একটা পরিবর্তন আসা দরকার। এটা একটা উদাহরণ দিলাম, এরকম আরো আছে।’

পাপনের তৃতীয় চ্যালেঞ্জ আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো, ‘ক্রীড়া সংস্থা তৈরি। এটার সঙ্গেই কাঠামোগত উন্নয়নের কথা এসেছে। ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ইতোমধ্যে এক জায়গায় হয়েছে আরেক জায়গায় হচ্ছে। আর কোথায় কোথায় হবে এটা নিয়ে প্রস্তাব করেছি। আর বয়স ভিত্তিকের জন্য ডেডিকেটেড অ্যাকাডেমি হবে। এখানে আমি প্রস্তাব রেখেছি যে– উন্নত অ্যাকাডেমি তো কয়েকটা হবে কিন্তু তিনটা থাকবে ডেডিকেটেড। যেমন ব্যাটিংয়ের জন্য একটা থাকবে, পেসারদের  জন্য একটা আর স্পিনারদের জন্য একটা। এটা জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য না, ডেভেলপমেন্টের উদ্দেশ্যে। এখানে দেশি হোক বা বিদেশি হোক, ডেডিকেটেড কোচ থাকবে। এছাড়া আমাদের খেলার মাঠ দরকার ৮-১০টা, যেখানে সারা বছর খেলা চালাতে পারি। সামনে আরো বেশি খেলাতে চাই। আর এই মাঠগুলো আমরা (বিসিবি) পরিচালনা করবো।

টিআইএস/এমএইচ