স্বাগতিক : ইংল্যান্ড
চ্যাম্পিয়ন : পাকিস্তান
রানার আপ : শ্রীলঙ্কা
অংশগ্রহণকারী দল : ১২টি
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় : তিলকারাত্নে দিলশান

আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা ততদিনে হয়তো পায়নি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। তবে ধীরে ধীরে বাড়ছিল গ্রহণযোগ্যতা। দর্শকরাও চার-ছক্কার ফুলঝুঁড়ি আর ধুন্ধুমার ক্রিকেট দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠছিলেন সময়ের সঙ্গে। প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজনের দুই বছর পর ২০০৯ সালেই তাই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

এই টুর্নামেন্টের পুরোটাজুড়েই ছিল চমকে দেওয়া সব জয়। ফেবারিটদের হারিয়ে দিচ্ছিল আন্ডারডগ দলগুলো। উদ্বোধনী ম্যাচেই স্বাগতিক ইংল্যান্ড হেরে গিয়েছিল সহযোগী সদস্য দেশ নেদারল্যান্ডের কাছে। অস্ট্রেলিয়া ধরাশায়ী হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।

তাতে বড় কৃতিত্বটা অবশ্য ক্রিস গেইলের। ৫০ বলে ৮৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। হাঁকিয়েছিলেন বড় বড় সব ছক্কা। অজিরা হেরেছিল শ্রীলঙ্কার কাছেও। হিসাবি বোলিং আর তিলকারাত্নে দিলশান ও কুমার সাঙ্গাকারার নৈপুন্যে এই জয় পায় তারা। 

কোনো ম্যাচ না হেরেই ওই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বভাবতই তাই প্রত্যাশা ছিল বেশি। কিন্তু সেখানে শহিদ আফ্রিদি ব্যাট আর বলে হয়ে ওঠেন দুর্দান্ত। ৫১ রানের ইনিংসের পর ১৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি। ম্যাচ হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

ফাইনালে পুনরায় মঞ্চায়িত হয় গ্রুপ স্টেজের শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান ম্যাচ। আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরত যান তিলকারাত্নে দিলশান। ওই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- ২০০৭ বিশ্বকাপ : ক্রিকেটের এক নতুন পথচলার শুরু

তার বিদায়ে কাজটা শুরুতেই কঠিন হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার জন্য। অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসে তাদের হাল ধরেন সাঙ্গাকারা। কিন্তু ১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করা খুব একটা কঠিন হয়নি পাকিস্তানের জন্য। শহিদ আফ্রিদির অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংসে ৮ বল আগে সহজ জয় পায় পাকিস্তান। 

আগের বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ লাগে। যুদ্ধ আর উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে এটি তাদের জন্য হয়ে ওঠে স্বস্তির জয়। বিশ্বকাপের আগে ফেবারিটের তালিকায় না থাকলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় তারাই। উল্লাস হয় ইসলামাবাদের রাস্তায়।

বাংলাদেশ কেমন করেছিল :

২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পরে আয়ারল্যান্ডের কাছেও হেরে গিয়েছিল টাইগাররা। তাতে দুই ম্যাচ খেলেই ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরতে হয় বাংলাদেশকে।

এমএইচ/এটি