কয়েক দিন পরই শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নিয়ে কিছুটা শঙ্কা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে যে কন্ডিশনে আমরা ঘরের মাঠে খেলেছি। এটা বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য কোনোভাবেই আদর্শ না। যদিও ওমান ‘এ’ দলটা খুব একটা শক্তিশালী না। তারপরও কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব আর চাপ ছিল। 

কিন্তু আমার মনে হয় প্রথম ম্যাচ হিসেবে বাংলাদেশ ভালোই খেলেছে। অনেকে খুব ভালো স্কোর করেছে। ব্যাটসম্যানরা ভালো রান করেছে। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল। এটা হয়তো আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফেরত নিয়ে আসবে। বোলিংও খুব একটা খারাপ হয়নি।

প্রথম ম্যাচটা আমরা ভালোই খেলেছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এটা দুর্বল দলের বিপক্ষে। সত্যিকারের অনুশীলন ম্যাচ আসলে ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শুরুটা মোটামুটি ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের যেমন শুরু, ওই হিসেবে বেশ ভালো। 

কিন্তু মিডল ওভারে আমাদের যে স্ট্রাইক রেটটা মেইনটেইন করা উচিত ছিল, সেটা বোধ হয় আমরা করতে পারিনি। একটা জুটি হলে নিচের ব্যাটসম্যানরা আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারতো। রানটাও তখন ১৬০ এর বেশি হতো। ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা আমাদের আসল অবস্থাটা বুঝিয়েছে। ব্যাটিংয়ে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। তবে সাকিব ও মুস্তাফিজ এই দলে যোগ দিলে বোলিং শক্তি আরও বাড়বে। তাদের যে স্কিল ও অভিজ্ঞতা, চাপের সময়টা আরও ভালোভাবে সামলাতে পারবে। 

সাকিব ও মুস্তাফিজ এই দলে যোগ দিলে বোলিং শক্তি আরও বাড়বে। তাদের যে স্কিল ও অভিজ্ঞতা, চাপের সময়টা আরও ভালোভাবে সামলাতে পারবে। 

আমাদের পরের প্রস্তুতি ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচটা জেতা জরুরি। এতে দলের মনোবল চাঙা হবে। টিম ম্যানেজম্যান্টকে এই জায়গাটায় পালন করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

আমরা বিশ্বকাপে কতটা যাবো সেটা নির্ভর করছে আসলে কোয়ালিফায়িং রাউন্ডে আমরা কেমন করব, সেটার ওপর। এটা যদি আমরা ভালোভাবে পার করতে পারি। 

একটা হচ্ছে টানা হেঁচড়া করে পার হওয়া, আরেকটা হলো সত্যিই আমরা একটা ভালো দল। কোয়ালিফায়িংয়ে যেসব দলের সঙ্গে খেলবো, তারা আমাদের চেয়ে একটু দুর্বল দল। তাদের সঙ্গে যদি আমরা আমাদের নিজেদের মান বজায় রেখে যদি জিততে পারি। ডমিনেট করে যদি জিততে পারি। 

সেটা যে মানসিক শক্তিটা দেবে সেটা নিয়ে যদি আমরা সুপার টুয়েলভ খেলি। তাহলে আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে ভালো খেলে ম্যাচ জেতার। সেক্ষেত্রে আমরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। 

তবে সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য শুরুটা ভালো দরকার। ওমানের সঙ্গে ম্যাচটা যদি দেখি, ওপেনিংটা ভালো ছিল। এই জায়গাটায় সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ভালো করতে পারিনি। যখনই উদ্বোধনী জুটিটা ভালো হয় না, সেটা মিডল অর্ডারকে চাপে ফেলে দেয়।

ওমানের সঙ্গে ম্যাচটা যদি দেখি, ওপেনিংটা ভালো ছিল। এই জায়গাটায় সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ভালো করতে পারিনি। যখনই উদ্বোধনী জুটিটা ভালো হয় না, সেটা মিডল অর্ডারকে চাপে ফেলে দেয়।

তাদের আবার থিতু হতে বল নষ্ট করতে হয়। আবার যখন মেরে খেলতে যায়, তখন উইকেট হারায়। আমাদের জন্য ব্যাটিংয়ে একটা ভালো শুরু করা খুব জরুরি। আমার মনে হয় আমরা যদি একটা ভালো সংগ্রহ গড়তে পারি আগে ব্যাট করে। 

আমাদের ওই বোলিং শক্তি আছে ডমিনেট করার মতো। কিন্তু আমাদের ব্যাটিংয়ে অধারাবাহিকতা আছে, এটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। শুরুটা যদি ভালো করতে পারি। মিডল অর্ডার অথবা লেট অর্ডারে যে গভীরতা আছে, ভালো রান করা সম্ভব।

আমার মনে হয় যখনই কেউ চাপের মধ্যে খেলে, কে কতটা ভয়-ডরহীনভাবে খেলতে পারে; এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টিতে যদি আমি অনেক চিন্তা করি। এমন হবে, ওমন হবে। নেতিবাচক চিন্তা আসে তাহলে খেলা খুব কঠিন হয়ে যায়। ইতিবাচক খেলতে হবে, আর ভয়হীন খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে পেছনে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই।