টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পথচলা শুরু সেই ২০০৭ সালে, প্রথম বিশ্বকাপেই। তামিম-সাকিবদের ঠিক দশ বছর পর ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে অভিষিক্ত হয় ওমান। কে ভেবেছিল বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে অনভিজ্ঞ ওমানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাঁচা মরার লড়াই হয়ে দাঁড়াবে?

শেষ কিছু দিনে ওমান ক্রিকেট তার স্মরণীয় সময় পার করছে। ওমানের সাফল্য নির্ভর করছে মূলত তাদের ৪ জন সিনিয়র ক্রিকেটারের উপর। যারা আজকের ম্যাচে গড়ে দিতে পারেন বড় ব্যবধান। 

বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে রয়েছে ওমানের ওপেনিং ব্যাটার যতিন্দর সিং। ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়ে সবার নজর কাড়েন। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে, পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৭৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি। 

অন্যদিকে আরেক ওপেনার আকিব ইলিয়াস ওমানের বিগ হিটার হিসেবে সমাদৃত। ওপেনিং এই ব্যাটার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে থাকেন ইনিংসের শুরু থেকেই। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই অর্ধশত রান করেছেন পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে।
   
ওমান দলের অধিনায়ক জিশান মাকসুদের অলরাউন্ডিং নৈপুণ্য গড়ে দিতে ব্যবধান। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই গড়েছেন ইতিহাস। শেষ ম্যাচে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ টি উইকেট। অধিনায়ক হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারের কীর্তি গড়েন তিনি। ওমানের হয়ে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটার তিনি। ব্যাট বল দুই দিকেই জ্বলে উঠতে পারেন জিসান। 

বিলাল খান বাঁহাতি পেসারের দুর্দান্ত বোলিং খেলায় দারুণ ভূমিকা রাখবে। ডেথ ওভারেও নিজের সেরাটা দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি কেন ওমানের সেরা বোলার। 

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন বাচিয়ে রাখার লড়াইয়ে এই চার ওমান ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারেন বড় বাঁধা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দশ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়ে ওমান রয়েছে দারুণ ছন্দে। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের ফলে বিশ্বকাপের পরের পরবর্তী পর্বে যাওয়ার কঠিন সমীকরণে পড়েছে বাংলাদেশ।
 
এমএফ/এনইউ