পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা হলো, এর কিছু পরেই প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক করলেন পদত্যাগ। নতুন কোচিং স্টাফ এলো। শেষ মুহূর্তে বিরাট পরিবর্তনও এলো দলে। এর আগে আবার দলের সিরিজও বাতিল হয়েছে একাধিক। বিশ্বকাপের আগে যা কিছু ঘটেছে, তাই যেন কোনো দলকে টালমাটাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। 

তবে দলটা পাকিস্তান, তাই বিশ্বকাপের ফেভারিটের খাতা থেকে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না তাদের! এমন চাপই যেন দলটার পছন্দের পরিস্থিতি, এমন কোণঠাসা পরিস্থিতি থেকেই যে বহুবার বাজিমাত করেছে দলটা। আরও একবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতেই বিশ্বকাপ মুল্লুক দুবাইতে পা রেখেছে বাবর আজমের দল।

নতুন কোচের অধীনে আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা নিশ্চিতভাবেই আছে পাকিস্তানের। তবে তার আগে প্রথম দিনই একটা অ্যাসিড টেস্ট অপেক্ষা করছে দলটির জন্য। টি-টোয়েন্টি হোক, কিংবা ওয়ানডে, যে কোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপে যে ভারতের বিপক্ষে জেতার নজির নেই পাকিস্তানের, সেই ভারতের বিপক্ষেই খেলতে হবে প্রথম ম্যাচ।

তবে এবার পাক শিবিরকে আশা দেখাচ্ছে অধিনায়ক বাবর আজমের দুর্ধর্ষ ফর্ম। শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদিরাও দিচ্ছেন যোগ্য সাহচর্য। সঙ্গে যোগ করুন মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদদের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের। সব মিলিয়ে পাকিস্তান দল এবার এসেছে শিরোপার দাবি জানিয়েই। 

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের গ্রুপে ভারত ছাড়াও রয়েছে আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ডের মতো দল। সঙ্গে গ্রুপ পর্ব থেকে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাও যোগ হয়ে যেতে পারে সুপার ইলেভেনে বাবরদের গ্রুপে। সেমিফাইনালে ওঠার পথটা বেশ সহজ হবে না পাকিস্তানের জন্য। সে কারণেই ভারতের বিপক্ষে কোনো ভুলচুক না করে শুরু করায় নজর পাকিস্তান দলের। সেটা হয়ে গেলে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে কখনো না জেতার কলঙ্ক যেমন মোচন হবে, তেমনি দলও সেমিফাইনালের পথে পাবে বড় একটা অনুপ্রেরণা। অধিনায়ক বাবর আজম নিশ্চয়ই তেমন কিছুই চাইবেন!

পাকিস্তান দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আসিফ আলি, ফখর জামান, হায়দার আলি, হারিস রাউফ, হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক

সেরা পারফরম্যান্স: ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন
কোচ: ম্যাথু হেইডেন