ক্রিকেট বাণিজ্যে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া-র (বিসিসিআই) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করেই কাড়িকাড়ি অর্থ কামাচ্ছে ভারত। এবার আরো বড় পরিসরে আইপিএল আয়োজনের ভাবনা বসিসিআইয়ের। ৮টি দলের পরিবর্তে টুর্নামেন্ট হবে ১০ দলের। আগামী মৌসুম থেকে আইপিএল নতুন করে ঢেলে সাজাচ্ছে সৌরভ গাঙ্গুলির বোর্ড। সঙ্গে আবার ৫ বছরের জন্য টেলিভিশন সত্ত্ব বিক্রি করবে বিসিসিআই।

স্টার ইন্ডিয়ার সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী ২০২৩-২০২৭, এই পাঁচ বছরের জন্য টেলিভিশন সত্ত্ব বিক্রির পরিকিল্পনা করেছে বিসিসিআই। যেখানে আইপিএলে সম্প্রচার সত্ত্ব কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে আইপিএলের সম্প্রচার সত্ত্বের মূল্য আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে। এর আনুমানিক দর ধরা হয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি রুপি।

বিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্তা ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সম্প্রচারকারী সংস্থা আইপিএলের সম্প্রচার সত্ত্ব কিনতে আগ্রহী। ১০ দলের খেলা হলে মোট ম্যাচের সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৪টি। সেক্ষেত্রে গোটা টুর্নামেন্টের ভ্যালুয়েশন আরও বাড়বে। দুটো নতুন দল সাত হাজার থেকে দশ হাজার কোটি রুপি দিয়ে যোগদান করবে। এতে সম্প্রচার সত্বের মূল্য আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে। তাই আইপিএলের ব্রডকাস্টিং রাইটসের ভ্যালু ৫ বিলিয়ন হতে পারে (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি)।’

২০০৮-২০১৭ পর্যন্ত আইপিএলের সম্প্রচার সত্ত্ব কিনেছিল সনি নেটওয়ার্ক। তবে শেষবারের নিলামে বাজিমাত করা স্টার ইন্ডিয়ার সঙ্গে পেরে উঠেনি তারা। ১১,০৫০ কোটি রুপিতে (১.৪৭ বিলিয়ন) টিভি সম্প্রচারের স্বত্ত্ব কিনতে চেয়েছিল সনি। স্টার আরও ৫৩ হাজার কোটি বেশিতে বিড জমা দেয়। ২০১৮-২০২২ এই পাঁচ বছরের সম্প্রচারের সত্ত্বের জন্য ​২.৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ১৬,৩৪৭.৫০ কোটি খরচ করে স্টার ইন্ডিয়া।

টিআইএস