উইকেট বোলারদের জন্য সহায়ক, আউটফিল্ডও স্লো। ভাবনাটা তাই পরিষ্কার। শুরুতে উইকেট বাঁচিয়ে খেলা, পরে যতটা দ্রুত সম্ভব রান তোলার চেষ্টা। সেই কাজটা ভালোভাবেই করেছেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস।

শুরুতে একদম ধীরগতির শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসছেন। খুব বেশি ঝুঁকি নিচ্ছেন না, প্রয়োজনে খেলছেন শটও। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার থেকে বাংলাদেশ তুলেছে ৪১ রান। এরপর দ্রুতই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। ৭ বলে ১০ রান করে করুণারত্নের বলে আউট হন তিনি।

আগের ম্যাচে ১ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে টাইগাররা করেছিল ৪৫ রান। এদিন চামিকা করুনারত্নের করা প্রথম ওভারে কেবল ২ রান করতে পেরেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম তিন বল ডট দিলেও পরের তিন বলে তুলেন ৭ রান।

তৃতীয় ওভারে দুইটি ফ্রি হিট বল পায় বাংলাদেশ। নাঈম শেখের চারসহ ওই ওভারে আসে ১২ রান। চতুর্থ  ওভারে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন লিটন দাস। লাহিরু কুমারার করা ওই ওভার থেকে বাংলাদেশ করে ৮ রান।

পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন চামিরার। চতুর্থ বলে চোখ ধাঁধানো এক শটে বল সীমানাছাড়া করেন লিটন। এই ওভার থেকে দুই ব্যাটসম্যান তুলতে পারেন ৮ রান। পাওয়ার প্লের পঞ্চম বলে আউট হয়ে ফেরেন লিটন দাস। দাসুন শানাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় লিটনের। এই ‍প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান করেছে বাংলাদেশ।

এমএইচ