কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছে না! সমালোচনার তোপ থেকেও মুক্তি মিলছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। দলে এখন ইনজুরির মিছিল। শুরুতে চোটে পড়ে বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। একদিন আগেই জানা গেছে, সাকিব আল হাসানও খেলতে পারছেন না বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরবর্তী দুই ম্যাচে। দলের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভেঙ্গেছে, সাকিবেরও বিশ্বকাপ শেষ। সঙ্গে নূরুল হাসান সোহানও খেলতে পারছেন না দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩ জনের দল এখন বাংলাদেশের। মানে দুই-একজন ইনজুরিতে পড়ে গেলে একাদশ সাজানোই কঠিন হয়ে যাবে। মোহাম্মদ সাইফউদিনের জায়গায় দলে ঢুকেছিলেন রুবেল হোসেন। কিন্তু সাকিবের জায়গায় কাউকে নিতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। অবশ্য কোভিড পরিস্থিতিতে সেই সুযোগটাও নেই। দলে যোগ দেওয়ার সোজা রাস্তা নেই। 

বাংলাদেশ থেকে কোন ক্রিকেটারকে উড়িয়ে আনলে থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। নিয়ম অনুযায়ী মাঠে নামার আগে ৬ দিন বন্দি থাকতে হবে। বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানাচ্ছিলেন, জটিলতা এখানেই শেষ নয়, পুরো বিষয়টা নিয়ে আগে আইসিসির চিকিৎসক প্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। লম্বা প্রক্রিয়া। এর মধ্যে শেষ হয়ে যেতে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। বিব্রতকর সেই পরিস্থিতি এড়াতেই হয়তো আর কাউকে দলে যোগ করছে না বাংলাদেশ। রিজার্ভে আরও ক্রিকেটার থাকলে অনায়াসে এড়ানো যেত এই পরিস্থিতি। সেটা শেষ করতে করতেই বিশ্বকাপ মিশনও শেষ!

যদিও ১৩ জনের নড়বড়ে এই দলটা নিয়ে সমস্যা নেই রাসেল ডমিঙ্গোর। বাংলাদেশ দলের হেড কোচ জানিয়ে দিলেন, তার দলে কোন কিছুরই কমতি নেই। টানা তিন ম্যাচ হারের কথা মাথায় নিয়েও জানালেন, বোলার, ব্যাটসম্যান কিংবা উইকেটকিপার সবই আছে দলে। বাড়তি ক্রিকেটার দলের সঙ্গে না রাখার প্রসঙ্গটি উড়িয়ে দিলেন ডমিঙ্গো।

তার নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মঙ্গলবারের সুপার টুয়েলভের ম্যাচটি নিয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘দেখুন, আমরা বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে বাড়তি দুজন ব্যাটসম্যান, বাড়তি দুজন পেসার, বাড়তি একজন অফ স্পিনার ও দুজন উইকেটকিপার নিয়ে এসেছি। আমি এখনও মনে করছি শেষ দুই ম্যাচের জন্য প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় আছে আমাদের।’

ডমিঙ্গো আরও যোগ করলেন, ‘জানিয়ে রাখতে চাই নুরুল হাসান সোহান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে পারবে না। এজন্যই অবশ্য দলে শামীম আছে, যে আমাদের ব্যাকআপ ব্যাটসম্যানদের অন্যতম। তাছাড়া সৌম্য সরকার আছেই, সেও ব্যাকআপ ব্যাটসম্যান। আমার তাই মনে হয় না, আরও ব্যাকআপ খেলোয়াড় আনার প্রয়োজন ছিল আমাদের।’

এদিকে লিটন দাসকে টপ অর্ডার থেকে সরিয়ে মিডল অর্ডারে খেলানো প্রসঙ্গে রাসেল বলছিলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে ভেবেছিলাম। কিন্তু সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ যখন আছে লিটনকে মিডলে খেলানো কঠিন। আফিফ আছে, যে এই পজিশনে খুব ভালো করছে। ওকে নিচে নামানো বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। লিটনও বলবে যে টপ অর্ডারই তার পছন্দের জায়গা। লিটনের ব্যাটিং আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক, ও ভালো অপশন।’ 

এটা নিশ্চিতই করলেন কোচ, লিটন তার পছন্দের তালিকাতেই আছেন। যদিও দলের অন্য ক্রিকেটারদের মতো সময়টা ভালো যাচ্ছে না লিটনেরও। সবশেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার চল্লিশঊর্ধ্ব ইনিংসটাও লাগসই হয়নি। তবে সৌম্যর মতো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তার জায়গাটাও পাকা!

এটি/টিআইএস