এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের শুরুর দুই ম্যাচ হেরে বিপাকে পড়ে ভারত। তৃতীয় ম্যাচে বুধবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বিরাট কোহলিরা। এ ম্যাচটি হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত ভারতের। ম্যাচটি ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে ২০০৭ টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবুও শঙ্কা কাটেনি, যদি-কিন্তুতে ঝুলে আছে ভারতের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন। ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচে ভারতের জয়কে ভালো চোখে দেখছে না ক্রিকেট সমর্থকদের বড় একটি অংশ। কাঠগড়ায় আফগানিস্তান দলও।

ভারত-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ২১০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে ভারত। যেখানে টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা আফগান বোলাররা ছিলেন একবারেই নির্বিষ। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা নিজেদের ছায়া হয়ে ছিলেন গোটা ম্যাচে। ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তারা করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের নিবেদনও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এজন্য ম্যাচটিকে অনেক সমর্থক দেখেছেন সন্দেহের চোখে। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় টস ইস্যুতে।

এবারের বিশ্বকাপে যেখানে সবগুলো দল টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে চাইছে, সেখানে এ ম্যাচে টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আফগানিস্তান। প্রশ্ন উঠেছে, উইকেট আর শিশিরের প্রভাব থাকার পরেও কী এমন বুঝে কোহলিদের হাতে ব্যাট তুলে দিল আফগানিস্তান?

ম্যাচ শেষে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রশিদ খান, ‘এই উইকেটে ১৭০-১৮০ রান তাড়া করার মতো। কিন্তু বাড়তি হয় ৩০ রান। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ অনেক শক্তিশালী। তারা শেষ তিন-চার ওভার কাজে লাগিয়ে দলের রানটাকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে গেছে।’

এবারের বিশ্বকাপে বাকি দলগুলোর থেকে আফগানদের কৌশল একেবারে ভিন্ন। আগে ব্যাট করেই তারা স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়াকে হারিয়েছে। পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলেও জয়ের মতো অবস্থা তৈরি করেছিল।

রশিদ বললেন, ‘আমাদের ভাবনা ছিল, প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ব্যাটিংয়ে ধুঁকেছে। কাজেই যেখানে ওদের ভোগান্তি হচ্ছে, আমরা শুরুতেই ওদের এই জায়গায় টার্গেট করব। সফল হলেই আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু ওরা খুব ভালো ব্যাটিং করে ২১০ রান করে ফেলে। এই উইকেটে যা অন্তত ২০-২৫ রান বেশি। কৃতিত্ব ওদেরই।’

সঙ্গে যোগ করে এই লেগ স্পিনার, ‘আগে বোলিংয়ের পেছনে মূল ভাবনা ছিল সেটিই (চাপে থাকা ভারতীয় ব্যাটিংকে চেপে ধরা)। আমরা চেষ্টা করেছি এটা কাজে লাগাতে। কিন্তু ওরা পেশাদার দল, আমাদেরকে ম্যাচের লাগাম নিতে দেয়নি।’

টিআইএস