পেসারদের জন্য উর্বর ভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় পাকিস্তানকে। অনেক কিংবদন্তি ফাস্ট বোলারের জন্ম দিয়েছে দেশটি। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুসরা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন বিশ্বের বাঘা সব ব্যাটসম্যানদের। আকরাম-ওয়াকারদের পর উমর গুল, সোহেল তানভীরদের শূন্যস্থান পূরণ করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলীরা। বিশ্ব মঞ্চ মাতানো আফ্রিদি-হাসানরা এসেছেন বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে।

জাতিগতভাবেই পাকিস্তান থেকে অনেক ফাস্ট বোলার উঠে আসে- এটি বেশ ভালোই জানা আছে বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদের। ঘরের মাঠে আফ্রিদি-রউফদের পেয়ে তাদের থেকে শিখতে চান তাসকিন।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় তাসকিন বললেন, ‘জাতিগতভাবেই পাকিস্তান থেকে অনেক ফাস্ট বোলার উঠে আসে। নব্বইয়ের দশক থেকে অনেক কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার খেলেছেন। এখনও ভালো ফাস্ট বোলার আছে। তুলনামূলকভাবে আমরা তাদের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু আমাদেরও উন্নতি হচ্ছে। যেহেতু একসঙ্গে সিরিজ খেলব, সুযোগ হলে ওদের সঙ্গে কথা বলব। ওরা এমন কিছু শেয়ার করতে পারে যেটা আমাদের ফাস্ট বোলারদের কাজে লাগতে পারে।’ 

সঙ্গে যোগ করেন তাসকিন, ‘সব ধরনের ফরম্যাটে সব ধরনের ফাস্ট বোলার ওদের আছে। এশিয়ান কন্ডিশন থেকে এরা অন্য পর্যায়ের ফাস্ট বোলার পাচ্ছে- ব্যাপারটা প্রেরণাদায়ক। এজন্য অবশ্য ওদের কন্ডিশনও ভূমিকা রাখে। আশা করছি ওদের মতো আমাদেরও ভালো ভালো ফাস্ট বোলার আসবে ইনশাআল্লাহ্‌।’

দুই দলের ৩টি-টোয়েন্টির সবকটি হবে মিরপুরে। প্রথমটি হবে আগামী ১৯ নভেম্বর। ২০ ও ২২ নভেম্বর হবে পরের ২ ম্যাচ। প্রথম টেস্টটি হবে ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এই সিরিজ দিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিনশিপের দ্বিতীয় আসরের যাত্রা শুরু হবে মুমিনুল হকদের।

টিআইএস