পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের শক্তি-দুর্বলতার জায়গা জানা আছে বাংলাদেশ দলের। শোয়েব মালিক, শাদাব খান, হাসান আলীরা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলায় তাদের খেলার ধরন সম্পর্কে ধারণা আছে স্বাগতিক শিবিরের।

শান্ত বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেট চিন্তা করলে পাকিস্তান সেরা দলগুলোর একটি। বিপিএলে ওদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। ওই দিক থেকে আমরা একটু আত্মবিশ্বাসী যে, ওই বোলারদের মোকাবেলা করেছি বা ওই ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করেছি। এই সুযোগ আমাদের আছে।’

তবে শান্তদের অভিজ্ঞতা একেবারেই কাজে আসেনি। ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে শান্ত নিজেও খোলস বন্দি। ১৪ বল খেলে আউট হয়েছেন মোটে ৭ রান করে। শান্তদের ব্যর্থতার দিনে বাজিমাত করেছেন হাসান আলী। পাকিস্তানকে ৪ উইকেটের জয়ে পাইয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে বল হাতে তার ৩ উইকেট শিকার। এজন্য হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। ম্যাচ শেষে হাসান আলী জানালেন, বিপিএলের অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে তার।

হাসান বললেন, ‘আমি বিপিএলেও এখানে এসেছি এবং জানি যে এখানকার উইকেট সাধারণত ধীরগতির হয়। তাই আমি স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বোলিং করেছি এবং সাফল্য পেয়েছি।’

বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলা হাসান বিশ্বকাপে সুবিধা করতে পারেননি। ৬ ম্যাচে ৫ উইকেট পেলেও বল হাতে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৯ এর উপরে। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচটা না ফসকালে হয়তো শিরোপা উল্লাসে মাততো পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৪ ওভারে বল করে ৪৪ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন হাসান আলী। 

সেই দুঃখ ভুলতে বাংলাদেশে এসে কঠোর পরিশ্রম করেছেন হাসান। জানালেন তারই ফল পেয়েছেন তিনি, ‘বাংলাদেশে এসে আমি বেশ পরিশ্রম করেছি নেটে। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দেখিয়েছি। বাংলাদেশ এখানে নিজেদের ঘরের মাঠে বেশ ভালো দল। বাইরে থেকে যারা আসে তাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষই। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে। ঘরের মাঠ বলে সুবিধাও পায় তারা। আজও বেশ ভালো একটা ম্যাচ হয়েছে, কঠিন পরিস্থিতি থেকে মিডল অর্ডার আমাদের জিতিয়েছে। তাদের কুর্নিশ করতে হয়।’

টিআইএস/জেএস