বাংলাদেশ টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য তাইজুল ইসলাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান না থাকায় বাড়তি দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে তাকে। তাতে সফলই বলতে হবে তাইজুলকে। প্রথম ইনিংসে একাই তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৭ উইকেট। সম্প্রতি বিভিন্ন বোলিং কোচের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন রকম বোলিং অ্যাকশনে বল করতে দেখা গেছে। তবে খুব বেশি সফলতার দেখা পাননি। নিজের চিরাচরিত কৌশলে বল করেই সফল হচ্ছেন তাইজুল।

বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত স্পিন বোলিং পরামর্শক সোহেল ইসলামের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দীক্ষা নিচ্ছেন তাইজুল। মাঝে ড্যানিয়েল ভেট্টরি, রঙ্গনা হেরাথদের সঙ্গে কাজ করেছেন। বারবার বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তনের কাজটি সহজ নয় একেবারে। তাইজুলকে কাছ থেকে দেখা সোহেল বলছেন, এসব করে তাইজুল সাহসিকতা পরিচয় দিয়েছেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সোহেল বললেন, ‘অনেকে অনেক কথা বলেছে অ্যাকশন বদলেছে ইত্যাদি। আমার সাহসী ছেলে সব সময় পছন্দ। যারা এক ধাপ থেকে চিন্তা করে আরেক ধাপে যেতে হলে সে ঝুঁকি নেবে। আমার এমন চরিত্র পছন্দ। ক্যারিয়ারের এমন একটা সময়ে সে সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছিল। সে এখন আবার তার আগের অ্যাকশনে ফিরে এসেছে, আবার তার ছন্দ এসে গেছে।’

সঙ্গে যোগ করেন সোহেল, ‘তার ঝুঁকি নেওয়ার প্রবনতা আমার মনে হয় বড় খেলোয়াড়ের লক্ষণ। আর তার আগের অ্যাকশনটা তো মাশল মেমোরিতে ছিলই। কাজেই আরেকটা অ্যাকশন যোগ করলে খুব খারাপ কিছু হতো বলে মনে হয় না।’ 

বারবার বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তন নিয়ে খুব বেশি শঙ্কার কারণ দেখছেন না তাইজুল নিজেই। সফলতার জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন কোচ সোহেল ইসলামকে।

তাইজুলের ব্যাখ্যা, ‘এটা সত্যি যে আমি আমার পুরোনো অ্যাকশনেই সফল। আমি আসলে চেষ্টা করছিলাম করা যায় কি না। কিন্তু অ্যাকশন যে পরিবর্তন করা যাবে না, করলে যে অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এমনটা হয় নাই। আমি অনেক বড় সাহায্য পেয়েছি সোহেল ভাইয়ের কাছ থেকে। আমি যখন পুরনো অ্যাকশনে ফিরতে চেয়েছি সোহেল ভাইয়ের কারণে সেটা তাড়াতাড়ি হয়েছে। উনি আমার অ্যাকশন সম্পর্কে ভাল জানেন তাই খুব একটা সমস্যা হয়নি।’

টিআইএস/এমএইচ