শিরোনামের প্রশ্নটা রাখা হয়েছিল তাইজুল ইসলামের কাছে। কারণটা বলে নেওয়া যাক আগে। পরে তার জবাব জানা যাবে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ রানে এসে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ২৪০ রানেই। কিন্তু এরপর শেষ দুই উইকেটে তারা যোগ করেছে ৪৬ রান।

অর্থাৎ এই ৪৬ রানের জায়গায় যদি ২০ রানও হতো, তাহলে বাংলাদেশের দিনশেষে লিডটা থাকতো ১০০ রানের বেশি। নিশ্চিতভাবেই ম্যাচে আরেকটু এগিয়ে থাকতে পারতেন মুমিনুল হকরা। ‘১০০ রানের লিড’ মানসিকভাবেও এগিয়ে রাখতো তাদের।

১১ নম্বরে খেলতে নামা শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩২ বল খেললেও তাকে আউট করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। এমন ঘটনা এই প্রথম নয়, আগেও ঘটেছে। কিন্তু কেন এমন হয় সবসময়? বাইরে থেকে দেখলে কারণ হিসেবে পাওয়া যায় মানসিকতাকে।

৭-৮ উইকেট পড়ে গেলে অলআউট করার ভাবনাটা থেকে সরে আসে বাংলাদেশ। হয়তো এমন হয়ে যায় ভাবনা ‘আউট হয়ে যাবে’। তাতেই বেশ কিছু রান করে ফেলেন টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যানরা। পরে এই ১০-২০ রান ভোগায়ও বেশ। রোববার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

দিনের সবচেয়ে সফল বোলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এটা কি কোনো মানসিক বাধা? তাইজুল স্বীকার করলেন না তেমন কিছু। বললেন, ‘এটা মানসিক কোনো বাধা না। অনেক ম্যাচে হয়েছে, এটা সত্যি। এটা হতে পারে, অনেক সময় হয়। ওই সময় খেলাটা অন্যরকম হয়।’

তাইজুল বললেন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান ও টেল এন্ডারদের পার্থক্যও, ‘টেল-এন্ডাররা স্পেশালিষ্ট ব্যাটারদের মত খেলে না। আর টেস্টে ফিল্ডিং সেটআপ অন্যরকম থাকে। এ কারণে আসলে এমন হয়। এটা অন্যরকম এক বিষয়। অনেক বড় দলেরও এমন হয়ে থাকে।’

বাংলাদেশ যে কেবল উইকেট নিয়েছে, ব্যাপারটা এমনও না। শেষ বিকেলে লিড নিয়ে খেলতে নেমে চার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে টাইগাররা। তাইজুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কি হতাশ? তাইজুল মনে করালেন,  ক্রিকেট খেলাটাই এমন। 

তিনি বলেছেন, ‘জিনিসটা হতাশাজনক হিসেবে নিলে হবে না। আমিও হতাশা হিসেবে নিচ্ছি না। ক্রিকেট খেলাটাই এমন। কেউ তো আর ইচ্ছা করে আউট হতে চায় না। প্রথম ইনিংসেও চারটি উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ে যায়। তারপরও কামব্যাক করেছি। এবারও কামব্যাক করার আশাই রাখছি।’

এমএইচ