চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের চা বিরতির পর প্রেস বক্সে চললো জোর আলোচনা। ঢাকা থেকে ম্যাচ কাভার করতে আসা সংবাদ কর্মীরা কে কখন ফিরবেন। পাঁচদিনের সূচি অনুযায়ী ম্যাচটি শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শেষদিনেই গড়াল। তবে ১৫তম সেশনে যে যাবে না সেটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। এজন্য অনেকেই ফিরতে চান ম্যাচ শেষের পর বাকি কাজকর্ম সেরে।

সাগরিকার পাড়ে প্রথম আড়াই দিন আলো ছড়ালেও এর পর থেকে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে ম্যাচের ফল অনেকটাই ঠিক হয়ে থাকল। বাকি থাকল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা- কথাটিতে যাদের শতভাগ বিশ্বাস আছে, তারা হয়তো এখনো আস্থা হারাবেন না। তবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্টে জয়ের পাল্লা ভারী সফরকারীদের দিকেই।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে আটকে দেয় টাইগাররা। এতে ৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে মুমিনুল হকরা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সব মিলিয়ে জয়ের জন্য ৪র্থ ইনিংসে পাকিস্তানের প্রয়োজন ২০২ রান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাবধানি শুরু করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার আবিদ আলী আর আব্দুল্লাহ শফিক কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বলের মান বিচার করে খেলছেন। প্রথম ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যান উদ্বোধনী জুটিতে জমা করেন ১৪৬ রান। যেখানে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আবিদ খেলেন ১৩৩ রানের ইনিংস। অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছেন দুজন।

৪র্থ দিন বাংলাদেশি বোলারদের কোনো সুযোগই তৈরি করতে দেননি আবিদ-শফিক। দুজনই তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। আলোক স্বল্পতায় বেশ আগেই শেষ হয় চতুর্থ দিনের খেলা। যেখানে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১০৯ রান তুলে ফেলেছে পাকিস্তান। জয়ের জন্য শেষদিনে তাদের প্রয়োজন ৯৩ রান, হাতে আছে ১০ উইকেট। 

এতে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বড় হার অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। তবে ওই যে, যারা বিশ্বাস করেন ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা- সে সমর্থকরা হয়তো অপেক্ষায় থাকবেন, অলৌকিক কিছু করে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ের স্বাদ এনে দেবেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজরা।

টিআইএস/জেএস