বাংলাদেশ দলকে ব্যাটিং দৈন্যতা ভোগাচ্ছে বেশ। ওপেনিংয়ে পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছেন না কোন ওপেনার। টি-টোয়েন্টি থেকে টেস্ট, একই নাটকের পুনরাবৃত্তি। পোশাক ও বল বদলাচ্ছে, তবে পারফরম্যান্স বদল নেই। টি-টোয়েন্টির ওপেনার লিটন দাস টেস্টে ৬-৭ নম্বরে খেলে রান পাচ্ছেন। কিন্তু যারাই ওপেনিংয়ে যাচ্ছেন, হারিয়ে খুঁজছেন নিজেদের।

চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন লিটন। প্রথম ইনিংসে ইনিংস সর্বোচ্চ ১১৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সর্বোচ্চ রান তার। খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। পাঁচদিনের ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে রান করছেন লিটন। প্রিয় শিষ্যর সফলতায় উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ডমিঙ্গো বলেন, ‘গত ১৮ মাসে লিটনের গড় ৬০ এর মতো। আমাদের হয়ে দারুণ কিছু ইনিংস সে খেলেছে। ৬ বা ৭ নম্বরে তার জন্য ভালো একটি জায়গা আমরা খুঁজে পেয়েছি। লোয়ার অর্ডারে আত্মবিশ্বাসের সাথে সে ব্যাট করছে। আমরা জানি সে দারুণ একজন খেলোয়াড়। ছন্দ খুঁজে পেতে একটু সময় লেগেছে। গত বছরগুলোতে টেস্টে সে আমাদের বড় ইতিবাচক দিক। হয়তো আগামী বছরগুলোতে সে বাংলাদেশের হয়ে ৪ বা ৫ নম্বরে খেলতে পারে।’

এদিকে লিটন নিচে নেমে রানের দেখা পেলেও সফলতার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ওপেনিংয়ে। সাগরিকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে টাইগার দুই ওপেনার সাইফ হাসান আর সাদমান ইসলাম আউট হন সমান ১৪ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংস সাইফ করেন ১৮, সাদমানে ব্যাট থেকে আসে মোট ১ রান। তাদের আউট হওয়ার কৌশল ছিল দৃষ্টিকটু।  

সাদমান-সাইফে অসন্তুষ্ট ডমিঙ্গো বললেন, ‘এটা হতাশাজনক। এই উইকেটে তারা যেভাবে আউট হয়েছে তা দেখে আমরা খুশি নই। সাদমান তার সর্বশেষ টেস্টে শতক হাঁকিয়েছে, কিন্তু তা খেলেছে ৫-৬ মাস আগে। নতুন বলে আমরা চাপে পড়ে যাচ্ছি। আমরা একটি মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খেলছি।’

সঙ্গে যোগ করেন ডমিঙ্গো, ‘সাইফ মাত্র ওর ষষ্ঠ ম্যাচ খেলল। সে অনেক অনভিজ্ঞ। সাদমান হয়তো বড়জোর ১০টির মতো ম্যাচ খেলেছে। এই মানের বোলারদের বিপক্ষে ভালো করা ওদের জন্য কঠিন। তাই টেস্টে ওদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।’

টিআইএস