১৫ সেশনের চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ হয়ে গেল ১৩ সেশনেই। হাতে পড়ে রইল ২ সেশন। ম্যাচ শেষের পরেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক ব্যাট-প্যাড নিয়ে নেমে পড়লেন নেটে। দুই ইনিংসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। বড় ইনিংস খেলে অভস্ত মুমিনুল পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলেন ২১ বল। করেন ৬ রান। এমন বাজে পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ শেষে নিজেকেই তুললেন কাঠগড়ায়।

দলের সেরা চার ব্যাটসম্যানের ভূমিকা নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন তুলে মুমিনুল বললেন, ‘শীর্ষ চার ব্যাটসম্যানকে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা উচিত, আমিসহ। চার নম্বরে আমি একটা বড় ইনিংস খেলতে পারলে দৃশ্যপট অন্যরকম হত। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেললে মোমেন্টাম ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এরপর ২০০ রানের পার্টনারশিপ করলেও দিনশেষে হতো ৩০০ হবে। এমন উইকেটে ৩৩০ রান করে লড়াই করা খুব কঠিন।’

চট্টগ্রাম মানেই মুমিনুলের রাজত্ব। এই শহরে ৭টি টেস্ট সেঞ্চুরির সৌরভ ছড়িয়েছেন তিনি। তবে এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে নির্লিপ্ত মুমিনুল। শুধু অধিনায়কই বা কেন, টপ অর্ডারের বাকি ৩ ব্যাটসম্যানও ব্যর্থ ম্যাচের সুই ইনিংসে। সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্তরা রানের দেখা পাচ্ছেন না। তার মাশুল দিতে হচ্ছে দলকে।

মুমিনুল বলেন, ‘পার্থক্য এখানেই গড়ে দিয়েছে। আমরা দুই ইনিংসে ৪৯ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেললাম। অর্ধেক খেলা এখানেই শেষ। ওপর দিয়ে এই অবস্থা হলে খেলায় ফিরে আসা খুব কঠিন। উপরে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করলে খেলায় ইতিবাচক দিক থাকত।’

টিআইএস/এটি/এমএইচ