পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে পেরে উঠেনি বাংলাদেশ দল। দলগত লড়াইয়ে ৮ উইকেটে চট্টগ্রাম টেস্ট হেরেছে স্বাগতিকরা। এমন হারের মাঝেও কিছু প্রাপ্তি দেখছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ব্যক্তিগত অর্জনে তাইজুল ইসলামকে বাহবা দিচ্ছেন টাইগার দলপতি। সঙ্গে জানালেন, তাইজুল অন্যদের অনুপ্রেরণা হতে পারে।

ম্যাচ শেষে তাইজুলকে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে মুমিনুল বললেন, ‘এই ম্যাচে আমাদের ২-৩টা প্রাপ্তির মধ্যে এটা অন্যতম এক প্রাপ্তি। ফ্ল্যাট উইকেটে ৮ উইকেট বের করা কিন্তু এত সহজ না। সে যা করেছে তা অসাধারণ। ওকে দেখে অবশ্যই সবাই অনুপ্রেরণা পেতে পারে। গত এক-দুই বছর ধরে যেভাবে নিজেকে নিয়ে কাজ করছে, উন্নতির চেষ্টা করছে, এই চিন্তা করলে সে অন্যদের অনুপ্রেরণা হতে পারে।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বল হাতে একাই ৪৫ ওভার বল করেছেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ ওভার। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৩ ওভারের মতো হাত ঘুরিয়েছেন প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১ উইকেট পেয়েছেন। তাইজুল বল হাতে দ্যুতি ছড়ালেও বাংলাদেশি পেসাররা একেবারে নির্লিপ্ত। আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেনরা সুবিধা করতে পারছেন না একেবারেই।

পেসারদের নিয়ে অধিনায়কের ভাবনা, ‘ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে বল করতে হয় এই জিনিসটা জানা দরকার। তাছাড়া কোচরা তো আছেনই, তারা এটা আরও ভালোভাবে বলতে পারবেন। বিদেশে বল করা একরকম, দেশে বল করা আরেকরকম। তাদের চার দিনের ম্যাচ বেশি বেশি খেলা উচিত। পাকিস্তান ভারত বা বড় বড় দলগুলোর দিকে দেখুন- তাদের পেসাররা অনেক ম্যাচ খেলে, অনেক বল করে। তাই ওরা (রাহী, এবাদত) যখনই সুযোগ পায় চার দিনের ম্যাচ খেলা উচিৎ। ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে বল করতে হয় সেটাও জানা উচিত।’

বাংলাদেশি পেসাররা যেখানে ব্যর্থ সেখানে পাকিস্তানি পেসাররা দুই ইনিংসে বাংলাদেশের ২০ ব্যাটসম্যানের ১৬ জনকে আউট করেছেন। সফরকারী পেসারদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুমিনুল বললেন, ‘ওদের মানসিকতা দৃঢ়। ভালো স্কিলের বিপক্ষে নতুন বলে ব্যাটিং করলে আপনাকেও মানসিকভাবে দৃঢ় হতে হবে। জানতে হবে ওরা কীভাবে অ্যাটাক করতে পারে। ব্যাটসম্যানদের স্কিল নিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই। মানসিকভাবে যত শক্ত থাকবেন তত ভালো।’

টিআইএস/এমএইচ