দেশের দ্বিতীয় ও বিশ্বের ৮২তম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের অভিষেক হয়েছে ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) আন্তরিকতা এবং পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই বন্দরনগরীবাসী পেয়েছে টেস্ট ভেন্যু উপহার। এই ভেন্যুতেই অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। হাবিবুল বাশার সুমনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এই ভেন্যুতেই। আশরাফুলের বীরত্বগাঁথা টেস্ট ইনিংসের সাক্ষীও এই এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। 

দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং ব্যাটার জ্যাক রুডলফ টেস্ট অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরিতে ইতিহাস রচনা করেছেন এই ভেন্যুতেই। সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেটে ইতিহাস রচনা করেছেন এনামুল হক জুনিয়র এম এ আজিজ স্টেডিয়ামেই। বন্দরনগরীতে দ্বিতীয় টেস্ট ভেন্যু হিসেবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে গুরুত্ব কমে গেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের। ২০০৫ সালের ১০ জানুয়ারির পর থেকে এই ভেন্যুতে আর আইসিসির স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ম্যাচ হচ্ছে না। তবে ৮ টেস্টে থেমে যাওয়া বহু স্মৃতি বিজড়িত এই ভেন্যুতে টেস্টে কৃতিমানদের কথা বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করতে চায় সিজেকেএস। 

তাদের এই আগ্রহের কথা জানতে পেরে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে টেস্ট ভেন্যুর দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ব্যতিক্রর্মী এক উপহার দিয়েছেন ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হয়ে যাওয়া ৮টি টেস্টে ১২টি সেঞ্চুরি এবং ৯টি ৫ উইকেটের ইনিংসের কৃতিমানদের কৃতি অনার্স বোর্ডে উঠিয়ে এনেছেন তিনি। কাঠের উপর খোদাই করা কৃতিমানদের কৃতি লেখা দেশের প্রথম এই অনার্স বোর্ডটি সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্ট চলাকালে হস্তান্তর করেছেন তিনি এম এ আজিজ স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষকে। 

একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছিরউদ্দিনের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি এই অনার্স বোর্ডটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সভাপতি মাহতাবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরীর ছেলে), চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহকারী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম এবং চট্টগ্রামের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক রুমু বড়ুয়া।

এমএইচ/এটি