ঘরের মাঠে বরাবরই ‘বাঘ’ বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে ১০ ম্যাচের ৭টিতেই জয়। যেখানে প্রতিপক্ষের নাম অস্ট্রেলিয়ার আর নিউজিল্যান্ড। অথচ বিশ্বকাপ থেকে ফিরে ঘরেও মাঠর ফায়দাটা কাজে লাগাতে পারছে না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ০-৩ ব্যবধানে হারের পর ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেও হার। 

টানা হারের পর প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটারদের পেশাদারিত্ব নিয়ে। তবে কি স্পিন সহায়ক মন্থর উইকেট ছাড়া জিততে পারে না বাংলাদেশ দল? তেমনটি অবশ্য মনে করছেন না বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, যদি ধানক্ষেতেও খেলতে দেওয়া হয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সেখানেও ভালো খেলতে হবে।

মুমিনুল বললেন, ‘পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে উইকেট কিংবা এগুলো নিয়ে অজুহাত দেওয়া কাম্য নয়। এটাতে আমি নিজেও একমত নই। যদি ধানক্ষেতেও খেলতে দেওয়া হয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সেখানেও আপনাকে ভালো খেলতে হবে। আমার মনে হয় এসব নিয়ে অজুহাত না দিয়ে জেতার জন্য আরেকটু পেশাদারিত্ব দেখালেই ভালো হয়।’

চলতি বছরের মাঝামাঝি জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ফিরে একেবারেই সুবিধা করতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সফরের পর বিশ্বকাপের মঞ্চে ভরাডুবি ব্যাটসম্যানদের। ওপেনাররা রানের দেখা পাচ্ছেন না পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজেও। দায়িত্ব নিয়ে খেলতে না পারায় ফুটে উঠছে পেশাদারিত্বের ছাপ।

মুমিনুল ব্যাট করলেন ব্যাটসম্যানদের হয়েই, ‘আমার তেমন মনে হয় না। পেশাদারিত্বের বিষয়টা তো কেবল উইকেট নয়, অন্য সবকিছু মিলেই কিন্তু পেশাদারিত্ব। নিয়মানুবর্তিতার বিষয় আছে, ভালোমতো অনুশীলন করা, নিয়মমাফিক কাজ করা, প্রতিপক্ষের শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা বুঝে অনুশীলন করা, এগুলো সবই কিন্তু পেশাদারিত্বের ভেতরেই থাকে। তাই আমার মনে হয়, আপনি যেমন বলছেন, ওরকম কিছুই নয়। সবাই পেশাদারিত্ব দেখাচ্ছে, কেউ হয়তো সফল হচ্ছে, কেউ হচ্ছে না।’

টিআইএস/এমএইচ