পাঁচদিনের টেস্টের চারদিন শেষ। প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। পরে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ৭৬ রান তুলতেই ৭ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসেছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে ২২৪ রানে। ফলোঅনের শঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে। 

যেখানে ম্যাচের চতুর্থ দিনে মাত্র ২৬ ওভার খেলেই ৭ উইকেট হারিয়েছে, সেখানে পঞ্চম ও শেষ দিনে পাক্কা ৩ সেশনের খেলা হলে ম্যাচ হার এড়াতে পারবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা? নাজমুল হোসেন শান্ত বলছেন, এখনো ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়নি বাংলাদেশ। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান (২৩) ও তাইজুল ইসলাম যদি একটা পার্টনারশিপ দাঁড় করাতে পারেন, তবে এই ম্যাচ ড্র করা সম্ভব।

শান্ত জানালেন, ‘কালকের শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাই ও তাইজুল ভাই যদি ভালো শুরু করতে পারে তাহলে পরের ইনিংসের জন্য সুবিধা হবে। পরের ইনিংসে আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে। ভালো ব্যাটিং করতে পারলে অবশ্যই ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব।’

সঙ্গে যোগ করেন শান্ত, ‘অসম্ভব কিছু না। খেলায় হেরে গেছি এরকম কিছু না। এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। ভালো অবস্থায় যেতে পারব না এমন কিছু না। কাল আবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ আছে। খুব ভালো ব্যাটিং করতে হবে।’

বুধবার ম্যাচের শেষদিন সাকিব-তাইজুল জুটি প্রতিরোধ না গড়তে পারে ফলোঅনে পড়তে হবে বাংলাদেশ দলকে। সেক্ষেত্রে আবার ব্যাটিংয়ে নামলে ড্র করার কাজটি সহজ হবে না মোটেও। অথচ প্রথম ৭ ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে খেললে এমন দুর্দশা হতো না দলের। সবাই যেন বোর শট খেলে নিজেদের উইকেটগুলো বিসর্জন দিলেন। নিয়মিত উইকেট হারালেও সুইপ শট খেলার লোভ সংবরণ করতে পারছিলেন না কেউই।

শান্তর ব্যাখ্যা, ‘টার্নিং উইকেটে এলবিডব্লিউ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমন উইকেটে সবাই সুইপের ওপরেই বেশি আস্থা রাখে। এজন্যই সবাই সুইপ খেলার পরিকল্পনা করেছে।’

টিআইএস