বাংলাদেশের উইকেট মানেই স্পিন সহায়ক মন্থর। স্পিনের ফাঁদে ফেলেই বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে টাইগাররা। ঘরোয়া ক্রিকেটেও স্পিন আর স্পিনারদের আধিক্য। তবে উপমহাদেশের দল হওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মন্থর উইকেটের পথে হাঁটেনি বাংলাদেশ। তবুও ঢাকা টেস্টে প্রতিপক্ষের স্পিনেই কুপোকাত স্বাগতিকরা।

চলতি ঢাকা টেস্টের আগে মাত্র ২টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে পাকিস্তানি স্পিনার সাজিদ খানের। তার একটি আবার এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ চট্টগ্রামে। সেই অখ্যাত সাজিদই বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দল। ঢাকা টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭১ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যার ৬টিই সাজিদের দখলে। এতে ফলোনের পাশাপাশি ম্যাচ হারের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্পিনারদের বিপক্ষে খেলতে না পারার বিষয়টি একেবারেই মানতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘আমি যেটা মেনে নিতে পারছি না তা হলো শাহিন শাহ আফ্রিদির পেস হয়তো প্রতিনিয়ত খেলি না, কিন্তু এরকম স্পিন তো খেলি। এটা হলো দুঃখের ব্যাপার, যেটা আমার জন্য নেওয়াটা কঠিন।’

আজ (মঙ্গলবার) ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন জানালেন, ‘কেন এমন হলো জানি না। অধৈর্য্য ব্যাপারটা ছিল, টেস্ট ব্যাটিং বলতে যা বুঝায় সেরকম তো ব্যাটিং করিনি আমরা। কেন এই ব্যাপারটা হচ্ছে সেটা চিন্তার বিষয়। উইকেটে স্পিন হচ্ছিল এবং ওরা ভাল স্পিনও করেছে কিন্তু আমরা তো কোয়ালিটি স্পিন খেলার সামর্থ্য আমাদের আছে। হয়নি কেন বা এত তাড়াহুড়ো কেন সেটা জানি না।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান সময়টা একবারেই ভালো যাচ্ছে না। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচেও হার। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে। সুজন বার্তা দিলেন, আগামী বছরের শুরু থেকেই দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

সুজন বলেন, ‘এখন খারাপ সময় চলছে। এখান থেকে বের হওয়ার উপায় আছে, পারব ইনশাআল্লাহ। আমরা চেষ্টা করবো দক্ষিণ আফ্রিকা বা শ্রীলঙ্কা ট্যুর থেকে গুছিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দেরও নিয়মিত খেলাটা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।’

টিআইএস