জাতীয় লিগে রান করেছেন। কিন্তু সেটি করে থাকেন অনেকেই। বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগের মূল্যায়ন দেখা যায় কমই। তবে ফজলে রাব্বি হয়ে থাকলেন ব্যতিক্রম। সাকিব আল হাসানের বিকল্প হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে।

ব্যতিক্রম হয়েছিলেন তিনি আগেও। ৩০ বছর বয়সে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন রাব্বি। কিন্তু হতাশায় শেষ হয়েছিল ওই যাত্রা। দুই ওয়ানডের দুটিতেই ডাক মেরেছিলেন, সেখানেই থেমেছিল তার রঙিন পোশাকের ক্যারিয়ার। আগের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কারণেই এবার বেশি রোমাঞ্চিত নন রাব্বি। 

জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর নিউজিল্যান্ড যাত্রার তাড়াহুড়োর মধ্যেই ঢাকা পোস্টকে রাব্বি বলেছেন, ‘এর আগের অভিজ্ঞতা ভালো না তো। অনেক হইচইয়ের পর সুযোগ পেয়ে দুইটা ডাক মেরেছিলাম। এজন্য খুব বেশি রোমাঞ্চিত না এবার। ভালো খেলতে হবে এটাই এখন চিন্তা আর কী।’

কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া এনসিএলের মৌসুমটা দারুণ কেটেছে বরিশাল বিভাগের হয়ে খেলা রাব্বির। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন। ৬ ম্যাচে ১১ ইনিংসে করেছেন ৬০৩ রান। ৫টিতে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন, ছিল একটি সেঞ্চুরিও। অল্পের জন্য দ্বিশতক মিস করলেও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৮৮ রান। 

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পরিসংখ্যানটাও বেশ সমৃদ্ধ রাব্বির। ৯৪ ম্যাচ ও ১৫৮ ইনিংস খেলে করেছেন ৫৩৫৩ রান। আছে ১০ টি সেঞ্চুরিও। নিজের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ানটা কি তাহলে অবশেষে পেলেন রাব্বি, ‘অবশ্যই। জাতীয় লিগে অনেক রান করেছি। সর্বোচ্চ রান ছিল আমার। যেহেতু আমাকে নিয়েছে। তার মানে অবশ্যই এটা ন্যায়বিচার হয়েছে এখন।’

জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়লে এমনিতেই ফিরে আসা কঠিন। ৩০ এর পর হলে সেটা আরও বেশি। রাব্বির বর্তমান বয়স ৩৩ বছর। এরপরও বিশ্বাস ছিল জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন? তিনি জানালেন, ‘বিশ্বাস বলতে জাতীয় লিগের সময়ই একটা বার্তা দেওয়া হয়েছিল তুমি তৈরি থাকো, যেকোনো সময় ডাক আসতে পারে। আর বিশ্বাস ছিল বলেই তো খেলা চালিয়ে গেছি।’ 

এমএইচ/এটি