বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের এক উজ্জ্বল অধ্যায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। সেই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতির অধীনে। অনেক বছর পর স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আসলেও বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতি স্বীকৃতি পায়নি। 

আজ (বুধবার) বাফুফে ভবনে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, ‘আমরা খুবই গর্বিত ও সম্মানিত সরকার স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায়। আমাদের এখন অনুরোধ বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতিকেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার। কারণ মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করার জন্য প্রথমে বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতি গঠন করা হয়। সেই সমিতির অধীনে একটি দল ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। ক্রিকেট, ভলিবল অন্য দলও গঠনের পরিকল্পনা ছিল। যুদ্ধ দ্রুত শেষ হওয়ায় আর অন্য দল গঠন হয়নি।’

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তান্নার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতিকে স্বীকৃতি দেব। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নেবে।’ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক পেলেও পুরো দল হিসেবে এখনো স্বাধীনতা পদক পাওয়া হয়নি। 

এই প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা পদকের জন্য আবেদন করতে হয়। এই বিষয়ে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অনেকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিছু দিন আগে। স্বাধীনতা পদকের আবেদন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাদের পাশে থাকবে।’ 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সংবর্ধনা দেবে।
ফুটবলাররা ভারতের মাটিতে বিভিন্ন প্রদেশে ১৬টি ম্যাচ খেলে মুক্তিযুদ্ধের তহবিলে সহায়তা করেছেন। ১৬ লাখ ভারতীয় রুপির বেশি অর্থ মুক্তিযুদ্ধের কোষাগারে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের মাধ্যমে জমা হয়েছিল।

এজেড/এমএইচ