‘আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের একটা কারণ ছিল- উইকেটে যত রক্ষণাত্মক খেলবেন তত কঠিন হয়ে উঠবে।’- মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনের ড্রিংস ব্রেকের পর ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ফিরিস্তি দিতে এভাবেই বলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংস হারের শঙ্কায় মুখে দাঁড়িয়ে পঞ্চম দিনেও একইভাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে বাংলাদেশ দল। অথচ প্রশ্ন শুনে ‘অবাক’ হলেন মুমিনুল হক।

ঢাকা টেস্ট ইনিংস এবং ৮ রানের হারের পর মুমিনুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ব্যাটসম্যান কেন আগ্রাসী ব্যাটিং করা দিকে ঝুঁকিছেন? সংবাদ সম্মেলমে অধিনায়ক মুমিনুল দিলেন এই অবাক করা উত্তর। 

মুমিনুল বললেন, ‘প্রশ্ন শুনে অবাক হয়েছি। না কেউ আক্রমণাত্মক খেলেনি। বলের মেরিট অনুযায়ী যদি রক্ষণই করেন তাহলে রান করবেন কোন সময়। ওরা ৩০০ রান করেছে, আপনি যদি রক্ষণই করেন, তো রান করবেন কখন। যারা আউট হয়েছে তারা ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিয়েই শট খেলেছে, যেখানে বল বেশি টার্ন করেন সেখানে রিস্ক নিয়ে না মারলে হয় না।’

সঙ্গে যোগ করেন মুমিনুল, ‘এটা যদি প্রথম ইনিংসের কথা বলেন, দেখেন আমারটাই সিলি মিসটেক ছিল, আমার হয়তো তাড়াহুড়ো করে রান নেওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু সবাই মারতে গিয়ে আউট হয়নি। এই উইকেটে মুশফিক ভাই ও লিটনকে সমর্থন করবো। কারণ তখন উইকেটে বল ঘুরছিল অনেক। ওই উইকেটে ওরা যে টার্গেটটা নিয়েছিল যেমন মুশফিক ভাই স্কয়ার অব দ্যা উইকেটে মেরেছিল দুর্ভাগ্যবশত সংযোগ হয় নাই।’ 

বৃষ্টির কারণে ১৫ সেশনের ম্যাচে ঠিকঠাক ৯ সেশনের খেলা মাঠে গড়ায়নি। যেখাবে স্কোর বোর্ডে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। এই ম্যাচে মিরাকল কিছু না হলে জয়ের কোন সুযোগ ছিল না বাংলাদেশ দল। নিশ্চিত ড্র'র দিকে এগিয়ে যাওয়া টেস্টে রান তোলার তাড়া থাকার কথা নয়। বরাবরের মতো এই টেস্টেও ব্যর্থ টপ অর্ডার। মুমিনুল দুষলেন প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানকে।

মুমিনুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় পুরো হতাশার। বিশেষ করে প্রথম ৪জন ব্যাটসম্যান , মানে এক কথায় বলব খুবই বাজে দিন ছিল গতকাল। এক সেশনে ৭ উইকেট হারিয়েছি। এখানে অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই। আমরা খুব বাজে ব্যাট করেছি। এরকম অবস্থায় ফিরে আসা কঠিন।’

টিআইএস/এমএইচ