আলোচনাটা বহুদিনের। চেষ্টাও হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু নানা কারণে সেটা আর ধোপে টেকেনি। অলিম্পিকে ক্রিকেট যুক্ত করার ভাবনাটাকে বাস্তবতায় রূপ দেয়ার চেষ্টা দিতে আরও একবার চেষ্টায় নেমেছে আইসিসি। ২০২৮ সালে অলিম্পিকের আসর বসবে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। সেখানে ‘অ্যাডিশনাল স্পোর্টস’ হিসেবে হলেও ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ইতোমধ্যে গেমসের মূল খেলাগুলোকে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। অলিম্পিক সংস্থার পক্ষ থেকে ২০২৮ অলিম্পিক আসরে প্রাথমিক কর্মসূচির মধ্যে ২৮টি খেলার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে স্কেট বোর্ডিং, সার্ফিং এবং স্পোর্টস ক্লাইম্বিং। এই অবস্থায় দাঁড়িয়েও আইসিসি আশাবাদী শেষবেলাতে লস অ্যাঞ্জেলেস গেমসে ‘অ্যাডিশনাল স্পোর্টস’ হিসেবে জায়গা করে নেবে ক্রিকেট।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে চিনের বেইজিং শহরে ক্রীড়াসূচির লিস্ট ভোটাভুটির জন্য তোলা হবে। আয়োজক শহর লস অ্যাঞ্জেলেস ‘অ্যাডিশনাল স্পোর্টস’ হিসেবে কোন খেলাকে ঢোকানোর সুপারিশ করতে পারে। ক্রিকেটের পাশাপাশি বেসবল, সফ্টবল এবং আমেরিকান ফুটবল ‘অ্যাডিশনাল স্পোর্টস’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দৌঁড়ে থাকবে।

ক্রিকেটের সব থেকে ছোট সংস্করণের ওপর ভরসা করেই অলিম্পিকে জায়গা করে নিতে মরিয়া (আইসিসি)। অনেকেই মনে করেন, অলিম্পিকে জায়গা পেতে আমেরিকাকে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে।

এখন পর্যন্ত ক্রিকেট কেবল একবারই খেলা হয়েছে অলিম্পিকে। ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিকে সেবার খেলেছিল কেবল গ্রেট ব্রিটেন আর ফ্রান্স। ২০২৮ সালের অলিম্পিকেই যদি ক্রিকেট জায়গা করে নিতে পারে তাহলে ১২৮ বছরের অপেক্ষা শেষ হবে খেলাটির। সেটা হলে ক্রিকেট ও অলিম্পিক, দুপক্ষই লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে।

টিআইএস/এটি