বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টর জন্য ১৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। এই দলে পেসারদের আধিক্য ঢের। ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন, টিম সাউদি, নেইল ওয়াগনাররা গতির আগুন ধরাবেন টাইগাদের বিপক্ষে। ভার‍ত সফরে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়া স্পিনার এজাজ প্যাটেলকেই দলে রাখেনি স্বাগতিকরা। কিউই পেসারদের চ্যালেঞ্জটা কীভাবে সামলাবে বাংলাদেশ?

প্রথম টেস্টে মাঠে নামার আগে আজ (শুক্রবার) সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, সাউদি-বোল্টদের চ্যালেঞ্জ নেওয়ায় সামর্থ্য আছে তার দলের। মুমিনুলের জবাব, ‘ওদের পেস বোলিংই সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ হবে। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের আছে।’

এদিকে বাংলাদেশ দলে আছেন ৬ জন পেসার। অভিজ্ঞ তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেনের সঙ্গে আছেন খালেদ আহমেদ, শহীদুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। নিজেদের পেসারদের উপর আস্থা রাখছেন অধিনায়ক।

মুমিনুল বললেন, ‘তাসকিন বিগত সব টেস্টে খুব ভালো বল করেছে। এবাদতও গত দুই টেস্টে খুব ভালো বল করেছে। রাহীও ভালো অবস্থায় আছে। শরিফুল আছে, খালেদ ও শহিদুল আছে। গত এক-দেড় বছরে আমরা বেশ উন্নতি করেছি। তাদের দেখার জন্য আমার আরও রোমাঞ্চ কাজ করছে এই সিরিজে। ওদের নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। আশা করি ভালো কিছু দেখতে পারবেন পেস বোলারদের কাছ থেকে।’

বাংলাদেশ দল সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফরের দুই ফরম্যাটে ৬ ম্যাচ খেলে হারে ৬টিতেই। দৃষ্টিকটু পারফরম্যান্সে কাঠগড়ায় ওঠে ফিল্ডিং। জয়ের খুব কাছে গিয়ে দুটি ম্যাচ হাতছাড়া হয় ক্যাচ মিসের জন্য। মুমিনুল জানালেন, এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন তারা।

ব্যাখ্যা বলেন মুমিনুল, ‘নিউজিল্যান্ডে বাতাস চারপাশে ঘুরাঘুরি করে। মানিয়ে নেওয়া খুব জরুরী ফিল্ডিংয়ের সময়। আমাদের যে ফিল্ডিং কোচ ছিলেন, উনি টেকনিক্যাল-ট্যাকটিক্যালি অনেক বেশি কাজ করেছেন। আমরা আশাবাদী। পেশাদার দল হিসেবে এগুলো বলা উচিৎ না, সবসময় কাজ করা উচিৎ। টেস্টে এটা নিয়মিত হচ্ছে। আমরা প্রক্রিয়া নিয়ে আগাতে পারি, ফলাফল হয়ত পরে দেখা যাবে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণের পরও হয়ত ক্যাচ মিস হতে পারে। আমরা প্রক্রিয়া নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, অনুশীলন করছি।’

টিআইএস/এনইউ