সেঞ্চুরিয়নে ইতিহাস গড়েই প্রথম ম্যাচটা জিতেছিল ভারত। তবে সেই ম্যাচটা যেখানে শেষ করেছিল ভারত, সেখান থেকে শুরু করতে পারেনি দ্বিতীয় টেস্টে। জোহানেসবার্গে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ২০২ রানেই। শঙ্কা ছিল বড় রান হজমেরও।

তবে পাদপ্রদীপের আলো কেড়ে নেওয়ার জন্য এই মঞ্চটাই বেছে নিলেন দলটির পেসার শার্দুল ঠাকুর। একে একে তুলে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাত সাতটি উইকেট, প্রোটিয়ারা গুটিয়ে গেল ২২৯ রানে। তাতে ভারত ম্যাচে ফিরল দোর্দণ্ড প্রতাপেই।

প্রোটিয়া ইনিংসে শুরুর আঘাতটা অবশ্য ছিল মোহাম্মদ শামির। এইডেন মার্করামকে দলীয় ১৪ রানে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। এরপর ডিন এলগারকে সঙ্গে নিয়ে কিগান পিটারসেনের জুটি বিপদ সামলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে লিডের পথে এগিয়ে নিতে থাকে। তবে এলগার ফেরেন দলীয় ৮৮ রানে, প্রোটিয়াদের ওপর নিজের প্রথম হানাটা দেন শার্দুল।

তারপরই যেন ছোটখাটো একটা ঝড় চলে গেল স্বাগতিকদের ওপর।  পিটারসেন ফিরলেন, এর একটু পর রাসি ফন ডার ডাসেন ফিরলেন সেই শার্দুলের শিকার বনেই। শেষ জনের উইকেট অবশ্য বিতর্কের আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে ম্যাচে। শার্দুলের বল তার ব্যাটের ভেতরের কোণা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্তের গ্লাভসে। মধ্যাহ্ন বিরতিও ডাকা হয়েছিল তখনই। তবে টিভি রিপ্লে দেখাচ্ছিল, তিনি আসলে আউট হননি, বলটা যে পান্ত পর্যন্ত ক্যারিই করেনি! তবে ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়েই গেছে, আউট হয়ে গেছেন ডাসেন। 

তার বিদায়ের পর দ্বিতীয় সেশনে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, আর কাইল ভেরাইন মিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ৬০ রানের জুটি গড়ে। তবে ভেরাইনের বিদায়ের পর শেষ হয় সে চেষ্টাটাও। এরপর বাভুমাকেও ফেরান শার্দুল। একটু পর দলীয় ১৭৯ রানে যখন কাগিসো রাবাদা ফিরছেন সপ্তম ব্যাটার হিসেবে, ভারতকে তখন লিডের সম্ভাবনাও হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। তবে কেশভ মহারাজ ও মার্কো ইয়ানসেনের লড়াইয়ে ভর করে ভারতকে লিড দিতে সমর্থ হয় স্বাগতিকরা। 

সে লিড অবশ্য খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ২১৭ রানে মহারাজ ফেরার পর শেষ দুই উইকেটে কেবল আর ১২ রানই যোগ করতে পেরেছে দলটি। তাতে ভারতকে কেবল ২৭ রানের লিড দিয়েই ক্ষান্ত হতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। আর স্বাগতিকদের চড়ে বসতে না দিয়ে ভারত দারুণভাবেই ফিরে এসেছে জোহানেসবার্গ টেস্টে।

এনইউ