তিনি এখন আগাগোড়া ফুটবলের মানুষ। খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন জাত স্ট্রাইকার, অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন বার্সেলোনা, টটেনহ্যামের মতো দলে, ডিয়েগো ম্যারাডোনার মাতানো ১৯৮৬ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটাও জিতেছিলেন তিনি। সেই গ্যারি লিনেকারই কথা বললেন ক্রিকেট নিয়ে, বাংলাদেশের জয় নিয়ে। 

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাসই গড়ে ফেলেছে। তার জন্য মুমিনুল হকের দলকে রীতিমতো প্রশংসাতেই ভাসালেন তিনি। 

সকালে এই অবিস্মরণীয় জয়ের পর শেষ এক যুগের ‘রেওয়াজ’ মেনে দল বেধে গেয়েছে ‘আমরা করবো জয়’ গানটি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল সেই মুহূর্তটিই ভিডিও করে প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে। গ্যারি লিনেকারেরও দৃষ্টিগোচর হয়েছে এই টুইট। 

সেটাই তিনি রিটুইট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘চমৎকার! অভিনন্দন!’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন দুটো হাততালির ইমোজিও।

লিনেকার ফুটবলের মানুষ হলেও ক্রিকেটের নিয়মিত দর্শকও যে তিনি, তার আভাস মেলে তার টুইটারেই। অ্যাশেজ চলছে, সে নিয়ে ভাবনাও জানাচ্ছেন নিয়মিত।

তবে বাংলাদেশ নিয়ে তার টুইট অবশ্য এই প্রথম নয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে যখন বাংলাদেশ তার দেশ ইংল্যান্ডের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকে, তখনও টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ জিতে গিয়েছে! তাদের অভিনন্দন! তবে ভালো বিষয়টা হচ্ছে, ইংল্যান্ড অন্তত এর চেয়ে খারাপ কিছু করতে পারবে না।’

ক্রিকেট নিয়ে তার এমন আগ্রহ অবশ্য অবাক করার মতো কিছু নয়। ফুটবলার না হলে হয়তো হতেন ক্রিকেটারই। ডানহাতি ব্যাটার ছিলেন, করতেন ডানহাতি মিডিয়াম পেসও, পাশাপাশি উইকেটরক্ষণেও ছিল তার উপস্থিতি। হিসেব রাখা হয়েছে, এমন পাঁচটা ম্যাচেও খেলেছিলেন তিনি।

আর বাংলাদেশও তার অচেনা নয়। বঙ্গমুল্লুকে অবশ্য পা পড়েছে তার। ২০১২ সালে একবার তার ভাই ড্যানিয়েল লিনেকারকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেও গেছেন বাংলাদেশ থেকে।

এনইউ/এটি