কেপটাউনে এক রিভিউ করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ডিন এলগার তুলকালামই বাধিয়ে বসেছেন। ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এমন এক বলে রিভিউ করে বেঁচে গিয়েছেন তিনি, যাকে আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছিল আউট। এরপর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি মাঠে দাঁড়িয়েই সম্প্রচারকারীদের একহাত নিয়েছেন। সেটা নিয়েই এবার ভারতকে খোঁচা দিয়েছেন পাকিস্তানি স্পিনার সাঈদ আজমল।

প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল তার সঙ্গেও। সেটাও আবার ভারতের বিপক্ষে, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে। ২০১১ বিশ্বকাপে সেদিন মোহালিতে ভারতকে শুরু থেকে চেপে ধরেছিল পাকিস্তান, তবে শচিন টেন্ডুলকারের ৮৫-তে ভর করে সেদিন লড়াকু স্কোর দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। শেষমেশ পাকিস্তান যায় হেরেই। 

সেই ৮৫ রানের ইনিংসে শচিনের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন তুলেছিলেন আজমল। সে বলটা অফস্টাম্পের বাইরে পড়ে সোজা আঘাত হেনেছিল শচিনের প্যাডে। আবেদনে মাঠের আম্পায়ার সায় দিয়েছিলেন সেদিন। তবে রিভিউতে বেঁচে যান শচিন। আপাতদৃষ্টিতে তা স্টাম্পে আঘাত করবে মনে হলেও রিভিউতে দেখা যায় সেটা বেরিয়ে গেছে লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে।  

এরপর এ নিয়ে আজমল কম কথা বলেননি। যদিও সেসবে লাভ হয়নি, যা হওয়ার সেদিনই তো হয়ে গেছে! এবার কোহলিদের আচরণে আজমল সুযোগ পেয়ে গেলেন ভারতকে খোঁচা দেওয়ার।

তিনি তা করলেনও। বললেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপে শচিন টেন্ডুলকারের আউটটা রিভিউ করায় পরিবর্তিত হয়েছিল। তখন আমায় প্রযুক্তির ওপর ভরসা রাখতে বলা হয়। প্রযুক্তি যে নির্ভুল, সেকথাও জানানো হয়। আজকে ওই লোকেরাই আবার ভোল পাল্টে বলছে যে প্রযুক্তিতে ত্রুটি রয়েছে এবং তা ভরসা করার মতোও নয়।’ 

সেদিন শচিনের মতো গতকাল কেপটাউনেও যে এলগার আউট ছিলেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই আজমলের। বললেন, ‘আমি ডিন এলগারের রিভিউটা কয়েকবার দেখেছি এবং কোনোভাবেই ওই বলটা উইকেটের ওপর দিয়ে যেতে পারে না। বলটাতো নি-রোলে লাগে এবং ও আউট ছিল। এমন একটা নিশ্চিত আউটের সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে গেলে একমাত্র তখন বোঝা যায় এগুলো মেনে নেওয়া কতটা কঠিন। ঠিক আজকে যেমন অশ্বিনের বলটা উইকেটে লাগত, তেমন করেই কোনোভাবে ২০১১ বিশ্বকাপে শচিনকে করা আমার বলটাও উইকেট মিস করছিল না।’

এনইউ