মিরপুরে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ মানেই আলোচনায় উইকেটের চরিত্র। গতকাল (শুক্রবার) শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরের আগেও আলোচনায় সেই উইকেট। উইকেটের আলোচনা কমেনি ৩ ম্যাচ পরেও। টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে মাত্র ৯৬ রান অলআউট হয়ে যায় সিলেট সানরাইজার্স। সেই রান টপকাতে নেমে গলদঘর্ম অবস্থা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। কোনরকমে ২ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা।

এ ম্যাচ হেরে উইকেটের চরিত্রকে দুষছেন সিলেট দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়, ‘আসলে উইকেটটা টি-টোয়েন্টির মতো আমাদের মনে হয়নি। ব্যাটিং করা বেশ কঠিন ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য। উইকেট ভেজা ছিল, টার্ন ছিল। যে কারণে ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারেনি। দুইটা দলই একইভাবে খেলেছে।’

সঙ্গে যোগ করেন বিজয়, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে কঠিনই মনে হয়েছে। সবার কাছেই আসলে কঠিন মনে হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে একটু কঠিন এমন উইকেট থাকলে রান বের করা। সব মিলিয়ে এ কারণেই আমার কাছে মনে হয়েছে রানটা হয়নি।’

দুই দলের এ ম্যাচে ছিল ডট বলের সমাহার। সিলেটের ১৮ ওভার ৪ বলের ইনিংসে ডটই ছিল ৬৮টি। কুমিল্লার ১৯ ওভারের ইনিংসে ৬২টি দল। সাকুল্য ২২২ বলের ম্যাচে ডট বলের সংখ্যা ১৩০টি। বিজয় জানান, ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃসহ এমন উইকেট।

ম্যাচ শেষে এক ভিডিও বার্তায় বিজয় বলেন, ‘উইকেট তো আমরা সবাই-ই দেখেছি প্রত্যাশানুযায়ী ওরকম পাইনি। টসটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যদি টসে জিততাম, আমরাও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতাম। আপনারা সবাই দেখেছেন কি পরিমাণ টার্ন হচ্ছিল। বল কাট করছিল। তো একটি ডিফিকাল্ট ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য। একটু না, অনেকখানিই ডিফিকাল্ট ছিল।’

দলীয় রান ৯৬ না হয়ে স্কোরবোর্ডে আর ২০ রানে বেশি হলে ফল ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করছেন বিজয়, ‘আসলে প্রথমে তো আমরা দেখেছি রানটা একটু কম হয়ে গেছে। উইকেট অনুযায়ী আমরা ব্যাটাসম্যানরা একটু হলেও তাড়াহুড়ো করেছি। ওই জায়গায় আমরা যদি একটু সময় নিতে পারতাম, আর কিছু রান করতে পারতাম, আর ২০টা রান বেশি হলেও খেলাটা কন্টেস্ট হতে পারত।’

টিআইএস/এমএইচ