দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষ হলো, ওয়ানডে সিরিজে দুটো ফিফটি করেছেন। তিন ম্যাচের সিরিজে এমন কিছু নেহায়েত খারাপ নয়, তবে যাকে নিয়ে বলা হচ্ছে তিনি যে বিরাট কোহলি! ভারতীয় এই ব্যাটারের এমন পারফর্ম্যান্স চলছে শেষ দুই বছর ধরেই। রানে আছেন কিন্তু বড় রান আসছে না, ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে নেই কোনো সেঞ্চুরি। 

তার ওপর শেষ কিছু দিনে সময়টাও ভালো যাচ্ছে না তার। টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন; এরপর ওয়ানডেরটাও হারিয়েছেন, এ নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলাও কম হয়নি। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ হেরে ছেড়েছেন টেস্ট অধিনায়কত্বও। এই অবস্থায় ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করছেন, আপাতত দুই-তিন মাস বিরতি নেওয়া উচিত কোহলির। তা হলে তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারবেন বলে জানালেন তিনি। 

কোহলি-শাস্ত্রীর সম্পর্কটা বেশ মধুর। কিছুদিন আগেও শাস্ত্রী ছিলেন ভারতীয় দলের কোচের পদে। কোচের সঙ্গে কোহলির বোঝাপড়াটাও বেশ। প্রিয় শিষ্যের এমন দুর্দিনে কী করা উচিত, তাও এবার জানিয়ে দিলেন শাস্ত্রী। 

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন এমন কিছু। বললেন, ‘কোহলির ওপর চাপ বেড়েই চলেছে। মানুষ সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, কখন তাকে আক্রমণের সুযোগ আসবে। ক্রিকেটাররা তো আর নিখুঁত নন!’

অধিনায়কত্ব ছেড়েও যে ভালো করা যায় সেটাও শিষ্যকে মনে করিয়ে দিলেন। বললেন, ‘অনেককেই দেখেছি, অধিনায়কত্ব ছেড়ে ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে। সুনীল গাভাস্কার, শচিন টেন্ডুলকার, এমএস ধোনি রয়েছেন এই তালিকায়।’

শাস্ত্রী মনে করেন, ৩৮ পর্যন্ত অনায়াসে খেলে যেতে পারেন কোহলি। বললেন, ‘কোহলিকে বুঝতে হবে, ওর ৩৩ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু এখনও পাঁচ বছর ক্রিকেট ওর মধ্যে বাকি রয়েছে। যদি শান্ত থাকতে পারে, নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে পারে, প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে পারে এবং ক্রিকেট খেলাটা থেকে কিছুটা বিরতি নিতে পারে, তা হলে এখনও অনেক কিছু দেখার বাকি রয়েছে ওর।’

সে প্রক্রিয়াতেই কোহলিকে বড় বিশ্রাম নিতে বললেন শাস্ত্রী। সাবেক ভারতীয় কোচের ভাষ্য, ‘আমার মনে হয়, ও যদি দুই-তিন মাস ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়, যদি একটা সিরিজ না খেলে, তা হলেই অনেক উন্নতি করতে পারবে।’

সেটা করলে ফলটাও হাতেনাতেই পাবেন কোহলি, বিশ্বাস শাস্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘বিরতি নিয়ে ফিরে আসার পর আগামী তিন-চার বছরে রাজার মতো শাসন করতে পারে কোহলি। মানসিকভাবে ও এমনিতেই রাজা। জানে দলের ক্রিকেটার হিসেবে ঠিক কী ভাবে খেলতে হবে। আপাতত কোহলির থেকে আমি চাই যে, ও দলের খেলোয়াড় হিসাবে অবদান রাখুক এবং দেশকে জেতাক।’

এনইউ