মাঠে তাদের সম্পর্ক ছিল আদায়-কাঁচকলায়, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের দুই বড় তারকা বলে কথা। শচিন টেন্ডুলকার আর শোয়েব আখতারের লড়াইটাও ছিল ভক্ত-সমর্থকদের জন্য পরম আরাধ্য কিছু। সেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড়দের একজনই এবার ভূয়সী প্রশংসা করে বসলেন আরেকজনকে। শোয়েব জানালেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেভাবে ব্যাটিং বান্ধব হয়ে যাচ্ছে, তাতে শচিন এখন খেললে এক লাখ রানও করে বসতে পারতেন। 

শেষ এক-দেড় দশকে ক্রিকেট যেন ব্যাটারদের দিকেই বাড়িয়ে দিচ্ছে বন্ধুত্বের হাত। দুই পাশ থেকে নতুন বল, ফিল্ডার বৃত্তের বাইরে রাখা নিয়ে বিধিনিষেধ, ফ্রি হিটের মতো নানান বিষয় যোগ হয়ে গেছে ক্রিকেটে। তাতেই আইসিসির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন শোয়েব, আলোচনা করলেন শচিনের সম্ভাবনা নিয়েও। 

শোয়েবের সেই কথা উঠে এসেছে সাবেক ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায়। সেখানে শোয়েব বলেছেন, ‘আপনি দুটো নতুন বল নিয়ে এসেছেন, নিয়মগুলো কঠিন বানাচ্ছেন, ব্যাটসম্যানদের অনেক বেশি সাহায্য দিচ্ছেন এখন। এখন আপনি তিনটি রিভিউ দিচ্ছেন। শচিনের সময়ে তিন রিভিউ থাকলে সে এক লাখ রানও করে ফেলতে পারত।’

শোয়েব আরও যোগ করে বলেন, ‘তার জন্য মায়া হয় আমার। যে কারণে মায়া হয়, তা হলো, সে শুরুর দিকে ওয়াসিম, ওয়াকার, ওয়ার্নদের বিপক্ষে খেলেছে। এরপর তাকে খেলতে হয়েছে শোয়েব, লি’র বিপক্ষে। এরপর সে নতুন প্রজন্মের বোলারদের মুখোমুখি হয়েছে। সে কারণে তাকে বেশ কঠিন এক ব্যাটার মনে হয় আমার।’

শচিন প্রসঙ্গে না গেলেও শাস্ত্রী ক্রিকেটটা যে ব্যাটিং সহায়ক হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে, সে নিয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করলেন। বললেন, ‘যদি ভারসাম্য আনতে চান, তাহলে ওভারে দুটো বাউন্সারের নিয়ম করতে পারেন না, বরং বাড়াতে হবে।’

ক্রিকেটে বোলাররা ব্যাটারদের চেয়ে বেশি চোটপ্রবণ। টানা ক্রিকেটের ধকল আরও চোটপ্রবণ করে দিচ্ছে খেলোয়াড়দের। বর্তমানে ব্যাটিং সহায়ক ক্রিকেটের কারণ হিসেবে একেও দেখলেন শাস্ত্রী। 

বললেন, ‘যে হারে খেলা হয়, এটাও একটা কারণ। আমাদের সময় টি-টোয়েন্টি ছিল না। প্রতি বছর ১২-১৩-১৪টার মতো টেস্ট থাকতো। বোলাররা আরও বেশি ফিট থাকত। একই বোলার যদি তিন ফরম্যাটে এখন খেলেন, তাহলে তার কাছ থেকে টেস্টে ভালো পারফর্ম্যান্স আশা করতে পারেন না। সে বড়জোর দুই তিন বছর ভালো পারফর্ম করবে, এরপরই তার তেল ফুরিয়ে যাবে।’

এনইউ/এটি