প্রথম কোয়ালিফায়ারে বরিশালের কাছে হেরেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে অবশ্য চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিয়ে ইমরুল কায়েসের দল এসেছে ফাইনালে। বিপিএলের শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ে আবার দলটির সামনে সাকিব আল হাসানের বরিশাল। এমন এক লড়াই স্বাভাবিকভাবেই জিততে চান ইমরুল, তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন জয়ের কৌশলটাও। 

এর আগে দুইবার ফাইনালে খেলেছে কুমিল্লা। হারার দুঃস্মৃতি নেই একটিও, দু’বারই শিরোপা হাতে নিয়েছে দলটি। এবারও ফাইনালের আগে উজ্জীবিত দলটি। সংবাদ সম্মেলনে তার কারণ জানালেন ইমরুল। 

বললেন, ‘এর আগে কুমিল্লা দুইবার ফাইনাল খেলেছে এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আশা করি কালকের ম্যাচটাও আমরা একই প্রক্রিয়ায় যাবো। প্রথম কোয়ালিফায়ার হেরে আমরা হতাশায় ছিলাম, কি করবো না করবো। কিন্তু কালকে যেভাবে কামব্যাক করেছি আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উপরে। রান তাড়া করা বলেন বা প্রথমে ব্যাটিং বলেন সবকিছুতে ইতিবাচক আছি। ইন শা আল্লাহ কালকে ভালো কিছু হবে।’

সেই ড্রাফটের দিন থেকেই আলোচনা হচ্ছে, কুমিল্লার দলই নাকি এবারের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল। তবে ইমরুল সে বিষয়টা মানতে নারাজ। জানালেন দুই দলই বেশ পোক্ত, যোগ্য দল হিসেবেই এসেছে ফাইনালে। 

সেয়ানে সেয়ানে দুই দলের লড়াই জিততে কী করতে হবে দলকে? সে উত্তরটাও দিলেন কুমিল্লা অধিনায়ক, ‘আমি মনে করি, যে দুইটা দল ফাইনাল খেলবে বলে সবাই আশা করেছে, সে দুইটা দলই ফাইনাল খেলছে। এই দুইটা দলই ডিজার্ভ করে ফাইনাল খেলার জন্য। ফাইনাল ম্যাচে যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে, আগেও বলেছি যারা সাহস নিয়ে খেলবে, অনেক শান্ত থাকবে তাদেরই সম্ভাবনা বেশি থাকবে জেতার।’

পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেললেও দল নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ আছে ইমরুলের। জানালেন ব্যাটিংটা এখনো পরিকল্পনা মেনে হচ্ছে না দলের। ফাইনালে সেটা পুষিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ঝরল কুমিল্লা অধিনায়কের কণ্ঠে। জানালেন ফাইনালে আক্রমণাত্মক থাকবে তার দল।

ইমরুলের ভাষ্য, ‘আমরা এর আগেও বরিশালকে ১৫০ এর নিচে, ১৪৩/৪৪ এ আটকে দিয়েছিলাম, আমরা যে ম্যাচটা জিতেছি সেটায় আমরা ১৮০ করেছে তাদের ১০০ এর নিচে অলআউট করেছি। আমাদের বোলিং দিক থেকে কোনো সমস্যা নাই। আমাদের সমস্যাটা হলো, ব্যাটিংটা, রান তাড়া করতে গিয়ে আমরা আমাদের পরিকল্পনার প্রয়োগ করতে পারেনি। তবে অবশ্যই কালকে একটা নতুন দিন, নতুন ম্যাচ হবে। দেখা যাক, আমরা আক্রমণাত্মক থাকবো।’