আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি সুপার লিগের অংশ। প্রতিটি ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট করে পাওয়া যাবে। যা কাজে লাগবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পেতে। আফগানদের বিপক্ষে এই সিরিজে পূর্ণ ৩০ পয়েন্টে চোখ বাংলাদেশ দলের। গুঞ্জন আছে, ঝুঁকি মুক্ত থাকতেই ঢাকার পরিবর্তে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে এই সিরিজ। মূলত সফরকারীদের বৈচিত্র্যময় স্পিন আক্রমণ যেন স্বাগতিকদের খুব বেশি বিপদে না ফেলে।

চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। আফগান শিবিরের স্পিন শক্তির কথা ভেবে এই সিরিজের উইকেটে পেসাররা খানিক সাহায্য পাবেন। এজন্য আগেভাবেই নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন এবাদত হোসেনরা। প্রথমবার ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া এই পেসার জানিয়েছেন, শুধু পেস বোলিং বিভাগ দিয়েই ১-২ ম্যাচ জেতাতে চান তারা।

সোমবার এক ভিডিও বার্তায় এবাদত বলেন, ‘আমরা ফাস্ট বোলাররা চেষ্টা করব এখানে যে তিনটা ম্যাচ আছে, অন্তত একটা-দুইটা ম্যাচ জেতাব। আমি আশা করি যে, আমাদের ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্ট খুব ভালো সময় যাচ্ছে আমাদের সবার। চেষ্টা করব আমরা ৩-০ ম্যাচে ডমিনেট করে থাকতে।’

এবারই প্রথমবারের মতো ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন এবাদত। তার নিজের কাছেও পুরো বিষয়টি ছিল অপ্রত্যাশিত। সাকুল্য ১১টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলা এই ডানহাতি পেসার জনান, একাদশে সুযোগ পেলে নতুন বলে প্রতিপক্ষ ঘায়েলের ছক আঁকছেন। নিউজিল্যান্ড থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চান এবাদত।

এবাদত বলেন, ‘আসলে আলহামদুল্লিাহ প্রথমে যে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি। সারপ্রাইজড আসলে, প্রথম যখন শুনেছি যে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি, এটার জন্য। তবে আমি ভালো করার চেষ্টা করব। আমি মাত্র লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছি ১১টা। এই প্রথম সুযোগ পেয়েছি ওয়ানডে দলে। গত বিপিএলে আমাদের দলে তামিম ভাই, মাশরাফি ভাই ও রিয়াদ ভাই ছিলেন। অনেক সাপোর্ট পেয়েছি উনাদের কাছ থেকে। এখন আবার সাদা বলে অনুশীলন করছি। ভালো করার চেষ্টা করব।’

সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘আমার সবচেয়ে চেষ্টা করব এখানে নতুন বল কাজে লাগানোর। বছরের শুরুটা আমরা খুব ভালোভাবে শুরু করেছি। নিউ জিল্যান্ডকে আমরা হারিয়েছি ওদের মাটিতে। তখন থেকেই আত্মবিশ্বাসী আছি। এরপর বিপিএল খেলেছি। বিপিএলটাও অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। সেই আত্মবিশ্বাস আমি আফগানিস্তান সিরিজে কাজে লাগাতে চাই।’

টিআইএস/এনইউ