এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ড্র হয়েছে দুই দিন আগে। ড্রয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কোচিং প্যানেলের সঙ্গে বসেছিলেন। সাথে ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলিও। 

১৯৮০ সালের পর বাংলাদেশ আর কখনো এশিয়া কাপে খেলতে পারেনি। এবার এশিয়ান কাপের বাছাই সিঙ্গেল লিগ ভিত্তিক হওয়ায় মৃদু সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে অনেক দেশের জন্য।

বাফুফে সভাপতি আজ বিকেলে জাতীয় দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে এশিয়া কাপ বাছাই নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সভাপতির সঙ্গে আলোচনার পর জাতীয় দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের বলেন, ‘সামনে মার্চের ফিফা উইন্ডো আছে। সেটার পরিকল্পনা হয়েছে। এখন সামনে জুনের উইন্ডো। এশিয়ান কাপ বাছাই হওয়ায় এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কয় দিন আগে যাব, কোনো প্রীতি ম্যাচ খেলব কিনা এই সব বিষয়ে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’ 

হ্যাভিয়ের অবশ্য চাইলে নিজ থেকে পরিকল্পনা দিতে পারছেন না। ১৮-২৪ মে বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের ম্যাচ। ঢাকা আবাহনী প্লে অফ উতরালে তারাও খেলতে পারে। কলকাতা থেকে কিংসের ফুটবলাররা দেশে আসবে নাকি সেখান থেকে মালয়েশিয়া যাবে। মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে অথবা মালয়েশিয়ায় গিয়ে কোনো ম্যাচ খেলা যায় কিনা এই বিষয়গুলো আগামী কয়েক দিন ভেবে দেখবেন জাতীয় দলের কোচ। 

এএফসি কাপ ও জাতীয় দলের সূচির জন্য ঘরোয়া লিগে বড় ছেদ পড়তে যাচ্ছে। ১৮-২৪ মে এএফসি কাপ, ৮-১৪ জুন এশিয়া কাপ বাছাই। এএফসি কাপের পর পুরোদমে প্রস্তুতি চলবে। অন্য দিকে ক্লাবগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য অন্তত তিন দিন আগে দেশ ছাড়বে ফলে এক মাসের বিরতিতে পড়তে যাচ্ছে লিগ। এই প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘লিগ কমিটির সভায় ক্লাবগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমাদের প্রথম লেগের সূচি দেয়া রয়েছে। সেই সূচি অনুযায়ী খেলা চলবে।’

এজেড/এনইউ