প্রিমিয়ার লিগে লিডস ইউনাইটেডকে প্রাসঙ্গিক করেছিলেন তিনি। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি কোচ মার্সেলো বিয়েলসার হাত ধরেই ইয়র্কশায়ারের দলটি ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পা রেখেছিল ১৬ বছর পর। তবে চলতি মৌসুমে দলের ব্যর্থতার খেসারত দিয়ে সেই ‘এল লোকো’ বা ‘পাগল’ খ্যাত বিয়েলসাকেই এবার তাড়িয়ে দিলো লিডস!

২০১৮ সালে দলটির দায়িত্ব নিয়ে দুই মৌসুমের মধ্যেই তাদের নিয়ে আসেন প্রিমিয়ার লিগে। এরপর প্রথম মৌসুমেও চলেছে দলটির স্বপ্নযাত্রা। একটু এদিক ওদিক হলে উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগ কিংবা ইউরোপা লিগেও চলে যেতে পারত দলটি। তবে সেটা না হলেও প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দশ দলের একটি হয়ে শেষ করেছিল বিয়েলসার দল। 

তবে চলতি মৌসুমের শুরুতেই দলটি পড়ে গিয়েছিল বিপাকে। চোটের কারণে কেলভিন ফিলিপস, প্যাট্রিক ব্যামফোর্ডসহ বেশ কিছু প্রথম পছন্দের খেলোয়াড়কে বিয়েলসা পাননি অনেক দিন। তারই ছাপ পড়েছে মাঠের পারফর্ম্যান্সে। চলতি মৌসুমে দলটি হজম করেছে ৬০ গোল, শেষ ১১ ম্যাচে খেয়েছে ৩৮ গোল। সবশেষ টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লিগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি গোল হজমের রেকর্ডটাও গড়ে ফেলেছিল দলটি। বর্তমানে অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে আছে লিডস। সব মিলিয়ে বিয়েলসার ওপর চাপটা বাড়ছিল ক্রমেই।

চলতি মৌসুমে অবনমিত যেন না হতে হয়, সে লক্ষ্যেই এবার বিয়েলসার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল লিডস। রোববার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ক্লাবটির চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া রাদ্রিৎজানি নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।

তিনি বলেন, ‘মার্সেলো ক্লাবের জন্য যা করেছেন, যে সাফল্য পাইয়ে দিয়েছেন সেসব মাথায় রাখলে লিডস ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে হলো আমাকে।’

বিয়েলসার হাত ধরেই যে লিডসে বসন্ত ফিরে এসেছিল, সে কথাও ভুলে গেলেন না ক্লাবটির চেয়ারম্যান। বললেন, ‘মার্সেলোকে প্রধান কোচ করে তিনটা অবিশ্বাস্য মৌসুম কাটিয়েছি আমরা। তাতে এলান্ড রোডে ভালো সময় ফিরে এসেছে। তিনি আমাদের ক্লাবের সংস্কৃতিটাই বদলে দিয়েছিলেন, আমাদের সবার মধ্যে তীব্র জয়ক্ষুধা জাগিয়ে তুলেছিলেন।’

তবে ক্লাবের ভালোর কথা ভেবেই যে তাকে দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে, সেটাও মেনে নিচ্ছেন তিনি। বললেন, ‘যাই হোক, ক্লাবের স্বার্থটাকেই সবার আগে দেখতে হয় আমাকে, পদক্ষেপ নিতে হয় সেটা মাথায় রেখেই। এখন আমার বিশ্বাস, আমাদের প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকতে হলে ক্লাবে একটা পরিবর্তন দরকার। সাম্প্রতিক ফলাফল ও পারফর্ম্যান্স মোটেও আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।’

এনইউ/এটি