২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও খেলা হয়নি। এবারও না হলে টানা দুই বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের আসরে খেলা হবে না ইতালির। চারবারের বিশ্বকাপজয়ী দলটি সেটা হজম করতে পারবে না, এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক তারকা ফুটবলার ক্যানাভারো।

বিশ্বকাপ খেলতে হলে এখনও লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে ইতালিকে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্লে-অফ সেমিফাইনালে নর্থ মেসেডোনিয়া, ওই ম্যাচ জিতলে ফাইনালে লড়তে হবে পর্তুগাল বা তুরস্কের বিপক্ষে। ইতালি বিশ্বকাপ খেললে বাদ পড়বে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ।

ইতালির বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে ক্যানাভারো বলেছেন, ‘আমাদের ও কাতার বিশ্বকাপ খেলার মধ্যে পর্তুগাল সবচেয়ে বড় বাধা। কিন্তু তুরস্কও পার্কে হাঁটতে আসবে না। আর এমনকি পালারমোতে নর্থ মেসেডোনিয়াকেও হারাতে হবে।’

‘আমরা নিজেদের সুযোগ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফেলে এসেছি। কোনোভাবেই আট বছর বিশ্বকাপ না খেলা ইতালি হজম করতে পারবে না। এটা সবার জন্য হবে বিপর্যয়। মানচিনি খুঁজে বের করবে বিশ্বকাপে যাওয়ার পথ।’

বিশ্বকাপ খেলতে যে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে, সেটা ভালোই জানা ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনির। আগের বার বিশ্বকাপ না খেলতে পারলেও গত বছর ইউরো জিতেছে ইতালি। সেটাই ভরসা যোগাচ্ছে মানচিনিকে। তিনি বলছেন, একটা শক্ত ভিতও তাদের গড়া আছে।

মানচিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম ম্যাচটা জিতেই যাবো এমনভাবে নিলে হবে না। এটা সহজ হবে না আর যদি আমরা জিতি, ফাইনালের জন্য তৈরি হতে সময় পাবো কেবল চারদিন। আমরা শক্ত একটা ভিত্তি তৈরি করেছি। আমরা ইতিবাচক আর আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে যে সবকিছু ভালো হবে। সামনে দুইটা কঠিন ম্যাচ। আমাদের এখানে থাকার কথা ছিল না কিন্তু কখনো কখনো ভুগতে হয়।’

‘আমরা সবসময় যেভাবে খেলি, সেভাবেই খেলতে হবে। কাকতালীয়ভাবে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবো না। আমরা এই ম্যাচগুলো খেলতে চাইনি, কিন্তু ফুটবলাররা ভালো বোধ করছে আর এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

‘আমি আশাবাদী কারণ আমার দলে এমন খেলোয়াড় আছে যারা শূন্য থেকে ইউরো জিতেছে, যেটা কেউ বিশ্বাস করেনি। আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে আত্মবিশ্বাসের ব্যাপারে। দল ঠিকঠাক আছে নিজেদের মান সঙ্গী করে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপ জেতা, সেটা করতে পরের দুই ম্যাচ জিততেই হবে। আমরা শিরোপা জিততেই বিশ্বকাপে যেতে চাই।’

এমএইচ