আসন্ন এশিয়ান গেমসে অংশ নেবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এশিয়ান গেমসের পাশাপাশি এশিয়ান ইয়ুথ গেমসেও নারী ফুটবল দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এশিয়ান গেমস আসলেই নারী ফুটবল দলের অংশগ্রহণ নিয়ে নানা আলোচনা হয়। এবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি প্রথমে এশিয়ান গেমসে নারী ফুটবল দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এশিয়ান গেমসে সিনিয়র নারী ফুটবল দল অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল অনূর্ধ্ব পর্যায়ে ভালো ফলাফল করলেও জাতীয় দল এশিয়ান পর্যায়ে বেশ দুর্বল।

বাফুফের অনুরোধ ও নারী ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুযোগের বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করে অবশেষে বিওএ নারী দলকে এশিয়ান গেমসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে অন্য ডিসিপ্লিনে প্রশিক্ষণ খরচ বিওএ বহন করলেও নারী ফুটবল দলের প্রশিক্ষণ ব্যয় বাফুফেকে বহন করতে হবে বলে জানা গেছে। 

কালকের সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিওএ নির্বাহী কমিটি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিওএ ২০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান পেয়েছে। চলতি বছর বিওএ'র অনেক খরচ। কমনওয়েলথ, এশিয়ান, ইসলামিক সলিডারিটির মতো বড় আন্তর্জাতিক আসরে অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণের জন্য সরকারের কাছে ইতোমধ্যে বিওএ বাজেটে দিয়েছে। 

আন্তর্জাতিক গেমসের শেফ দ্য মিশনও গতকাল ঠিক করা হয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসর শেফ দ্য মিশন হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিওএ সহ-সভাপতি লে.জেনারেল মইনুল ইসলাম (অব.),  ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বিওএ সদস্য সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীর ও এশিয়ান গেমসে কোষাধ্যক্ষ একে সরকার। ২০১৮ জাকার্তা এশিয়ান গেমসে একে সরকার ডেপুটি শেফ দ্য মিশন ছিলেন৷ 

শেফ দ্য মিশন মনোনয়ন ছাড়াও কালকের সভায় বিওএ’র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ছয়টি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত মেয়াদের মতো এই মেয়াদে বিওএ’র মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন। গত মেয়াদে সদস্য সচিব ছিলেন কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল। এবার তিনি বিওএ'র নির্বাহী কমিটিতে নেই। তার জায়গায় মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব হয়েছেন সিরাজউদ্দীন আলমগীর। 

বিওএ গত মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব ছিলেন দুই অভিজ্ঞ সংগঠক আসাদুজ্জামান কোহিনূর ও আশিকুর রহমান মিকু। তারা এবার স্ট্যান্ডিংতে চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব পদে তারা নেই। অনেক নতুন মুখ এসেছেন বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব পদে। 

প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটি - চেয়ারম্যান লে.জেনারেল মইনুল ইসলাম, সদস্য সচিব একে সরকার 

মিডিয়া কমিটি - চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন ও সদস্য সচিব সিরাজউদ্দিন আলমগীর 

সলিডারিটি কমিটি - চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন ও সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ মহী 

ক্রয় ও প্রশাসন কমিটি - চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও সদস্য সচিব এমবি সাইফ 

ফাইন্যান্স,অডিট, প্ল্যানিং ও বাজেট কমিটি - চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ ও সদস্য সচিব একে সরকার। 

এজেড/এমএইচ