দীর্ঘ চার বছর পর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলা ফিরেছে সিলেটে। সবশেষ ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে সিলেটের মাঠে খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে দেশের মাটিতে খেললেও সিলেটে খেলেননি জামাল ভূঁইয়ারা। অবশেষে ২০২২ সালে এসে সিলেটে ফিরল ফুটবল উন্মাদনা। 

লাল সবুজের প্রতিনিধিদের বরণ করে নিতে দর্শকদের ঢল নেমেছে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। সবার একটাই চাওয়া, যত গোলেই হোক, বাংলাদেশের একটা জয়। 

দিনমজুর তৌহিদুল ইসলামের বাসস্থান ধিরাইতে। জীবিকার তাগিদে থাকছেন সিলেট শহরে। দলকে সমর্থন দিতে তিনি চলে এসেছেন রেকাবিবাজারে, আজকের বাংলাদেশ ফুটবলের তীর্থে। 

স্টেডিয়ামের দু'নম্বর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, 'আজকে আসছি বাংলাদেশের খেলা দেখতে৷ আনন্দ করবো। আমি চাই বাংলাদেশ যেন জিতে। এক গোল হোক, দুই গোল হোক, জেতা লাগবে।'

চলতি আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতিতে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচটা খেলেছে গত ২৪ মার্চ। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পরে দ্বিতীয়ার্ধটা দেখতে পেরেছেন রুবাইয়াত আহমেদ। সে ম্যাচ পুরোটা দেখতে না পারার আক্ষেপ তাকে ঢাকা থেকে টেনে এনেছে সিলেটে, তাকে আটকে রাখতে পারেনি পরীক্ষার চোখরাঙানিও। 

তিনি বললেন, 'আগের ম্যাচটা এই গ্রুপ, সেই গ্রুপ খুঁজে দেখতে পেরেছি কেবল দ্বিতীয়ার্ধটা। একটা আক্ষেপ ছিল, সেই কারণেই সিলেটে চলে আসছি। পড়শু মিড টার্ম আছে, কেয়ার করিনাই। চলে আসলাম।' আশা যে বাংলাদেশের জয়ের, তা বলাই বাহুল্য। 

বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিট ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও স্কুল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার। সে কারণে গ্যালারিতে স্কুলড্রেস পরা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। 

শিক্ষার্থী হোক, কিংবা সাধারণ দর্শক, জামালরা যখন অনুশীলনে নামলেন, বাংলাদেশ বাংলাদেশ রবে মাতোয়ারা হলেন সবাই। সবার একটাই চাওয়া, বাংলাদেশের জয়। এখন জামাল ভূঁইয়ারা দর্শকদের সে প্রত্যাশাটা মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে মেটাতে পারলেই হয়!

এনইউ/এটি