ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ রীতিমতো দেয়াল তুলেই দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। মুহুর্মুহু আক্রমণেও ভাঙছিল না যে দেয়াল। অবশেষে ভাঙল কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে অ্যাটলেটিকো থেকে একটু এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় লড়াইয়ে পা রাখল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

একটা পরিসংখ্যানেই ম্যাচের চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষ গোলমুখে ১৫টা শট নিয়েছে সিটি, অ্যাটলেটিকোর ক্ষেত্রে সে সংখ্যাটা ০! শট নেই, তাই লক্ষ্যে কয়টা শট, সে আলোচনা নেহায়েতই বাহুল্য; অন্য দিকে সিটির শট লক্ষ্যে ছিল দুটো, যার একটি জড়িয়েছে জালে। সিটির পক্ষে কর্নার গেছে ৯ বার, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পক্ষে যায়নি একটিও। ম্যাচের এইসব পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, সিটির মাঠ থেকে গোল করার চেয়ে গোল ঠেকানোর দিকে মনোযোগ বেশি ছিল অ্যাটলেটিকোর।

তবে দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্টের ম্যাচে যা হয়েছে, নিরপেক্ষ দর্শক হলে একরাশ বিরক্তিই ধরে যাওয়ার কথা। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে কেবল একমুখী আক্রমণ চলেছে, যেখানে সিটি মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে অ্যাটলেটিকোকে। ২২তম মিনিটে প্রথমবার প্রতি আক্রমণে উঠে আসে অ্যাটলেটিকো তবে সেটাও শেষ হয়ে গেছে পরিণতি পাওয়ার আগেই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গা ঝাড়া দিয়ে অ্যাটলেটিকো ম্যাচে ছড়ি ঘোরানোর একটা চেষ্টা করেছিল। তবে সেটাও আলোর মুখ দেখেনি শেষমেশ।

বিরতির আগে সিটির একচেটিয়া আধিপত্য ছিল এতিহাদে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে। সেটা থাকল ম্যাচের বাকি অংশেও। ৭০ মিনিটে সিটিকে সাফল্য এনে দেয় সেটাই। বক্সের একটু বাইরে বল পান বদলি হিসেবে মাঠে নামা ফিল ফোডেন। তখনই ফরোয়ার্ড রান নেওয়া শুরু করেছিলেন ডি ব্রুইনা। ফোডেনের পাসটা এরপর ফাঁকায় পেয়ে যায় ডি ব্রুইনাকে। দুরূহ কোণ হলেও গোল করতে ভুল হয়নি বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের।

সেই এক গোলেই জয় তুলে নিয়েছে সিটি। আগামী ১৪ এপ্রিল ওয়ান্ডা মেত্রোপলিতানোয় দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।