ঢাকা আবাহনীর হেড কোচ পর্তুগিজ ম্যারিও ল্যামোস। বাফুফের ম্যাচ সামারিতে তার নামের পাশে লেখা অনুবাদক। দলের ম্যানেজার সত্যজিতৎ দাশ রুপুর নামের পাশে লেখা গোলরক্ষক কোচ। সহকারী কোচ জাকারিয়া বাবুর পদবী হয়েছে ট্রেইনার।

বাফুফে ম্যাচ সামারিতে আবাহনীর অংশে হেড কোচ, ম্যানেজার কোনো পদবীই নেই। আবাহনীর সর্বশেষ ম্যাচ বারিধারার সঙ্গেও মিডিয়া বিভাগ থেকে পাওয়া ম্যাচ সামারিতে পাওয়া গেছে ল্যামোসকে অনুবাদক, রুপুকে গোলরক্ষক কোচ। বিগত কয়েকটি ম্যাচের সামারিতেও একই চিত্র দেখা গেছে আবাহনীর অংশে। 

বিষয়টি আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ ল্যামোসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হন। আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু এই বিষয় সম্পর্কে বলেন, ‘ম্যাচের তালিকা, সামারির খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফদের ফেডারেশন থেকেই করা হয়। এখানে কোনো ক্লাবের ভূমিকা নেই।’

শুরুতে তালিকায় আবাহনীর কোচিং স্টাফের পদবী ঠিক থাকলেও ম্যাচ সামারিতে বদলে যায়। বাফুফের মিডিয়া বিভাগ কিছু ম্যাচের খেলোয়াড় তালিকা পাঠায় সঙ্গে ম্যাচ সামারিও দেয়। ম্যাচ সামারিতে গোলদাতার নাম, সময়, বদলি খেলোয়াড়, কার্ডের বিবরণ থাকে। সেখানে রেফারি, ম্যাচ কমিশনারের স্বাক্ষর থাকে। আবাহনীর কয়েকটি ম্যাচের ম্যাচ সামারিতে কোচিং স্টাফের পদবী ভুল ছিল। সেই ভুল সামারিতেই স্বাক্ষর করেছেন রেফারি, ম্যাচ কমিশনার।

আবাহনীর ম্যাচগুলোর শুধু আবাহনীর অংশে এই বিভ্রাট দেখা গেছে। এই বিষয়টি রেফারি, ম্যাচ কমিশনারের দৃষ্টি এড়িয়ে যাচ্ছে নাকি বাফুফের সচিবালয়ের উদাসীনতা এই প্রশ্ন জেগেছে ফুটবলাঙ্গনে। 

এজেড/এটি/এনইউ