আগের ম্যাচে ৩-১ গোলের জয়ের পর লিভারপুলের সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটা সহজই ছিল। একটা ড্র হলেই চলত। সেই ড্রটা তারা পেলোও। তবে সেটা এল একটা ৬ গোলের থ্রিলার শেষে। ছয় গোলের এই ম্যাচে জোড়া গোল করে লিভারপুলের নায়ক বনে গেলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তার জোড়া গোলের আগে ইব্রাহিমা কোনাতের গোলের সুবাদে বেনফিকার বিপক্ষে ৩-৩ ড্র, আর সামগ্রিক লড়াইয়ে ৬-৪ ব্যবধানের জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে উঠে গেছে লিভারপুল।

মঙ্গলবার রাতে পুঁচকে ভিয়ারিয়াল বায়ার্নকে রুখে দিয়েছিল, আর চেলসি আরেকটু হলে রিয়ালের ৩-১ গোলের জয়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উঠে যাচ্ছিল সেমিফাইনালে। সেই রাতে ভিয়ারিয়াল আর চেলসির যে সমীকরণ ছিল সামনে, তার সম্মিলিত একটা সমীকরণ ছিল বেনফিকার সামনেও। পুঁচকে বেনফিকাকে সেমিফাইনালে যেতে হলে করতে হতো কমপক্ষে তিন গোল।

কাজটা কঠিন ছিল, সেটা প্রায় অসম্ভবই করে দেন ইব্রাহিমা কোনাতে। প্রথম লেগে পেয়েছিলেন গোল, পেলেন ফিরতি লেগেও। ২১ মিনিটে সেই গোলের পর মনে হচ্ছিল লিভারপুল বুঝি হেসেখেলেই উঠে যাচ্ছে সেমিফাইনালে।

তবে অল রেডদের কাজ যে ঢের বাকি, তা মনে করিয়ে দেন গনকালো রামোস। ৩২ মিনিটে করেন গোল। তাতে অ্যানফিল্ডে সফরকারীদের লক্ষ্যও নেমে আবার নেমে আসে ২ গোলে। ১-১ গোলের সমতায় প্রথমার্ধ শেষেও সমীকরণটা ছিল একই।

বিরতির পর বেনফিকার সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন ফিরমিনো। ৫৫ আর ৬৫ মিনিটে করে বসেন দুটো গোল। অ্যাগ্রিগেটে ৬-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে বেনফিকা, শঙ্কা ছিল আরও বড় হারেরও। 

তবে বেনফিকা হতোদ্যম হয়নি। ৭৩ মিনিটে রোমান ইয়ারেমচুক গোল করে জানান দেন, খেলার আরও অনেক বাকি এখনো। ৮২ মিনিটে ডারউইন নুনিয়েজের গোলে দ্বিতীয় লেগে ফেরে ৩-৩ গোলে সমতা। কাজ তখনও শেষ হয়নি বেনফিকার। আরও দুই গোল প্রয়োজন ছিল দলটির। ৮৩ মিনিটে সেই নুনিয়েজের নিচু শটে তার একটা প্রায় পেয়েও যাচ্ছিল বেনফিকা, তবে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের কল্যাণে তা থেকে রক্ষা পায় লিভারপুল।

ম্যাচের বাকি অংশে আক্রমণ শানিয়ে আর লাভ হয়নি বেনফিকার। তাতে ম্যাচটা রোমাঞ্চ আরেকটু বেশি ছড়িয়েছে এই যা, সফরকারীদের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেনি আর। তাতেই রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ শেষে লিভারপুল পাড়ি জমায় শেষ চারে। 

এনইউ