ইউরোপা লিগের শেষ আটে আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে ৩-২ গোলে হেরে প্রতিযোগিতাটি থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। তবে এই ম্যাচে নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বেশ অদ্ভুত এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে পড়েছিল বার্সা। নিজেদের মাঠে খেলা হলেও এদিন প্রতিপক্ষ সমর্থকের সংখ্যা ছিল প্রায় নিজেদের সমর্থকদের প্রায় সমান সমান। শুরু থেকেই ন্যু ক্যাম্পে দুয়ো শুনেছে বার্সা। বিষয়টা মোটেও মেনে নিতে পারছেন না বার্সা কোচ জাভি। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এল বিষয়টা। জাভির কথা, ‘আমি কমপক্ষে ৭০-৮০ হাজার বার্সা সমর্থক আশা করেছিলাম এখানে। কিন্তু পরিস্থিতিটা এমন দেখা যায়নি। ক্লাব খতিয়ে দেখছে, এখানে কী হয়েছিল।’

তবে পরিস্থিতিটা যে বার্সাকে সাহায্য করেনি মোটেও, সেটাও পরিষ্কার বলে দিলেন বার্সা কোচ। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতিটা আমাদের মোটেও সাহায্য করেনি, এটা পরিষ্কার। এর প্রভাব পড়েছিল আমাদের ওপর, আমরা যার ফলে খারাপ খেলেছি। এটা কোনো অযুহাত হিসেবে নেওয়ার বিষয় নয়। ফ্রাঙ্কফুর্টকে অভিনন্দন জানাতে হবে আমাদের। তারা পুরো লড়াইটা জুড়ে শ্রেয়তর দল ছিল।’

ইউরোপা লিগের এই ম্যাচে ন্যু ক্যাম্পে দর্শক সংখ্যা ছিল ৮০ হাজারের কাছাকাছি। বার্সেলোনার সমর্থক যেখানে ছিল ৫০ হাজার আর ফ্রাঙ্কফুর্টের ৩০ হাজার। যে কারণে ম্যাচটাকে ঘরের মাঠের না মনে হয়ে জাভির মনে হচ্ছিল হচ্ছে কোন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সমান সমান দর্শক নিয়ে হচ্ছে খেলাটা।

জাভির কথা, ‘এটা একটা ফাইনালের মতোই ছিল। এটা হারিয়েই যাচ্ছিল। এমনকি আমাদের খেলোয়াড়রাও মন্তব্য করেছে এ নিয়ে। আমাদের ড্রেসিং রুম জানতে চায় কী হয়েছে ম্যাচে, আমাদের একটা ব্যাখ্যা প্রয়োন।’

‘আপনি যখন ঘরের মাঠে খেলবেন, তখন এমন কিছু হতে পারে না। এটা আমাদের সাহায্য করেনি, এটা পরিষ্কার; আমাদের পরিকল্পনা ও হিসেবে গোলমালের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এখানে।’

একটু পর ক্লাব সভাপতি হোয়ান লাপোর্তাও কথা বললেন জাভির সুরেই। তিনি বলেন, ‘জাভি যেটা বলেছে তার সঙ্গে আমি একমত। আজ যা ঘটেছে, তা লজ্জার। এ নিয়ে বড় একটা তথ্য আমাদের কাছে আছে আমাদের কাছে। বার্সেলোনা সমর্থক হিসেবে আমি লজ্জিত। এর পুনরাবৃত্তি ঘটানো যাবে না আর।’ 

এনইউ