লিভারপুলের মাঠে মেসির বার্সার স্মৃতিও ফেরাচ্ছে ভিয়ারিয়াল
সেই স্মৃতি কী করে ভুলবে লিভারপুল? নিজেদের ইতিহাসের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার পথটা গড়ে দিয়েছিল যে ম্যাচ, তর্কসাপেক্ষে লিওনেল মেসির সেরা মৌসুমে কালিমা লেপন করে দিয়েছিল যে ম্যাচ, লিভারপুলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্রত্যাবর্তনের ম্যাচকে কী করে ভুলবেন 'কপাইটরা'? অবিস্মরণীয় সেই স্মৃতি আজ অ্যানফিল্ডে ফিরছে আবার। এবার দলটিকে সেই ম্যাচের কথা মনে করিয়ে দেওয়া দলটার নাম হচ্ছে ভিয়ারিয়াল।
২০১৯ সালে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। এরপর থেকে চলতি মৌসুম পর্যন্ত কেটে গেছে আরও দুটো মৌসুম। ২০১৯-২০ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখ আর ২০২০-২১ মৌসুমে শিরোপার হাসি হেসেছে চেলসি। ২০১৮-১৯ মৌসুমে শিরোপা জেতার পরের দুই মৌসুমে সেমিফাইনালেই খেলতে পারেনি লিভারপুল। শিরোপা জেতার পরের মৌসুমে শেষ ষোলো আর গেল মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল দলটি। দুই মৌসুম পর আবারও সেমিফাইনালে লিভারপুল। তার প্রথম লেগটা মাঠে গড়াচ্ছে আজ, অ্যানফিল্ডে ভিয়ারিয়ালকে আতিথ্য দিচ্ছে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
বিজ্ঞাপন
অ্যানফিল্ডে সেই ইতিহাসের ম্যাচের আগে অবশ্য সামগ্রিক লড়াইয়ে ৩-০ গোলে পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। আগের লেগে মেসির এক জাদুকরি ফ্রি কিক আর একটা সহজ ট্যাপ ইন গোল, সঙ্গে সুয়ারেজের লক্ষ্যভেদে ফাইনালের রাস্তা পরিষ্কারই করে রেখেছিল দলটা। তবে ২০১৯ সালের ৮মে'র সেই ম্যাচে দিভোক অরিগি আর বর্তমানে মেসির পিএসজি সতীর্থ জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডামের জোড়া গোলে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে বসে ক্লপের দল। সেই ম্যাচের পর এই প্রথম অ্যানফিল্ডে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল। এমন এক ম্যাচের আগে সেই সেমিফাইনাল স্মৃতি সালাহদের মনে নাড়া দিয়ে যাবে না, তা কী করে হয়?
সেই ম্যাচের স্মৃতি ফিরছে আরও একটা কারণে। যে দলের মুখোমুখি হচ্ছে লিভারপুল, সেই দলটাও যে বার্সেলোনার দেশেরই দল, ভিয়ারিয়াল। স্প্যানিশ লিগের সপ্তম স্থানে থাকা উনাই এমেরির শিষ্যদের আজ আতিথ্য দেবে লিভারপুল।
বিজ্ঞাপন
সেই ম্যাচে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল অ্যানফিল্ডের বিরুদ্ধ পরিবেশ। সেটা যে আজকের ম্যাচেও থাকবে তা বলাই বাহুল্য। সেটা ভাবনায় আছে ভিয়ারিয়ালেরও। দলটির খেলোয়াড় এতিয়েঁ কাপো যেমন বললেন, ‘অ্যানফিল্ড একটা জাহান্নাম। আপনাকে এভাবেই বলতে হবে, এটা একটা নরক। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বাজে স্টেডিয়াম এটা। এর পরিবেশ, যেভাবে দলটা খেলে তাতে ৯০ মিনিটের জন্য আপনাকে নরকেই থাকতে হবে।’
‘তারা কখনো দেখে না তাদের সামনে কারা আছে, তারা স্রেফ প্রতিপক্ষকে মেরে ফেলতে চায়।’ এমন এক পরিবেশের সহায়তা নিয়ে, নিজেদের আগুনে ফর্মটা ধরে রেখে, অবিস্মরণীয় স্মৃতির অনুপ্রেরণা নিয়ে যে আজও ভিয়ারিয়ালকে ছিঁড়েখুঁড়েই খেতে চাইবে ক্লপের দল, তা আর বলতে। উনাই এমেরির দলের জন্য তাই আজ কঠিন এক পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে বৈকি!
এনইউ