চেলসির সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ ফরোয়ার্ডদের একজন ছিলেন ট্যামি আব্রাহাম। কিন্তু স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে তার সময়টা একেবারে ভালো যাচ্ছিল না। মূল একাদশে নিয়মিত হতে পারছিলেন না, তার উপর ভেরনার-হ্যাভার্টজ-জিয়েখের মতো ফরোয়ার্ডরা আসার পর আগে কালেভদ্রে যে দুয়েকটা সুযোগ পাচ্ছিলেন, সেগুলোও পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে গিয়েছিল। 

তাই তো হোসে মরিনহোর রোমা তাকে দলে টানতে আগ্রহ প্রকাশ করার আর এক মুহূর্ত দেরি করেননি। শৈশবের ক্লাব চেলসিকে মুহূর্তেই বিদায় জানিয়ে রোমে পাড়ি জমানোর পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি আব্রাহামকে। চেলসিকে বিদায় বলার পর অন্য কোথাও গিয়ে সফল হওয়ার গল্প অবশ্য এটাই প্রথম নয়।

বর্তমান সময়ে প্রিমিয়ার লিগ দাপিয়ে বেড়ানো লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহও কিন্তু ঠিক একইভাবে সফল হয়েছিলেন। সুইস ক্লাব বাসেলে দারুণ পারফর্ম করার সুবাদে ২০১৪ সালে চেলসিতে এসেছিলেন সালাহ। কিন্তু দলটির হয়ে দুই মৌসুমে সর্বসাকুল্যে মাত্র ১৯ ম্যাচে মাঠে নামতে পেরেছিলেন। আর তাই ২০১৬ সালে চেলসিকে বিদায় জানিয়ে সালাহও ইতালিয়ান ক্লাব রোমায় যোগ দেন। প্রায় বিস্মৃতির দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এরপর তিনি হয়েছেন বিশ্বসেরা। রোমায় অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে আবারও প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসেন। লিভারপুলের হয়ে একক নৈপুণ্যে যেমন আলো ছড়াচ্ছেন, তেমনি দলের হয়েও জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ।

অ্যাথলেটিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আব্রাহাম জানালেন, কিভাবে সালাহ’র চেলসি ছাড়ার সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তীতে বিশ্বসেরা হওয়ার গল্প তাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, ‘চেলসি ছাড়ার সিদ্ধান্ত খুবই কঠিন ছিল। তবে আমি দেখেছি কিভাবে সালাহ, ডি ব্রুইনা, লুকাকুরা চেলসি ছাড়ার পর জ্বলে উঠেছে। তারা এখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। আমিও সেটাই করতে চেয়েছি।’

রোমায় নিজের প্রথম মৌসুমে সত্যিই জ্বলে উঠেছেন ট্যামি আব্রাহাম, এখন পর্যন্ত ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে ৪৭ ম্যাচে ২৪ গোল করেছেন। আক্রমণভাগে হোসে মরিনহোর প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।

এইচএমএ