মিনো রাইয়োলা আর নেই, খবরটা দিনদুয়েক আগে চাউর হয়েছিল ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমে। তবে এরপরই টুইটারে ৫৪ বছর বয়সী এই এজেন্ট জানান, এখনো মরে যাইনি! তবে এবার তার সেই টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই তার পরিবার জানাল, ‘সুপার এজেন্ট’ খ্যাত এই ফুটবল ব্যক্তিত্ব আর নেই। চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, পল পগবা থেকে শুরু করে হালের আর্লিং হালান্ড, মাতিয়াস ডি লিখট কিংবা জিয়ানলুইজি ডনারুমা, এমন বড় বড় তারকাদের এজেন্ট ছিলেন ইতালিয়ান এই ফুটবল ব্যক্তিত্ব। ‘সুপার এজেন্ট’ এজন্যেই বলা হতো তাকে। শেষ কিছু দিনে তিনি আলোচনায় ছিলেন হালান্ডের দলবদল নিয়ে। ২১ বছর বয়সী এই তারকার জন্য তিনি দলগুলো থেকে চাইছিলেন ৩০ মিলিয়ন ইউরো ‘এজেন্ট ফি’।

তার পরিবারের কাছে থেকে এসেছে তার মৃত্যুর খবর। তার টুইটার অ্যাকাউন্টে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অসীম দুঃখ নিয়ে আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে যত্নশীল ও বিস্ময়কর এজেন্টের মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি। খেলোয়াড়দের জন্য দরকষাকষির টেবিলে যেমন করে তিনি লড়াই করতেন, মৃত্যুর বিপক্ষেও তিনি ঠিক তেমনভাবেই লড়েছেন তিনি। মিনো আমাদের গর্বিত করেছেন, আমরা কখনো বিষয়টা বুঝতেই পারিনি।’

সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মিনো তার জীবনে তার কাজ দিয়ে অনেককেই ছুঁয়ে গেছেন, আধুনিক ফুটবলে নতুন একটা অধ্যায় রচনা করেছেন। তার শূন্যতাটা সর্বত্র সবসময় অনুভূত হবে।’

জন্ম ইতালিতে হলেও তিনি ছেলেবেলাতেই নেদারল্যান্ডসে পাড়ি জমান। আশির দশকের শেষ দিকে তিনি এজেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। জুভেন্তাস কিংবদন্তি পাভেল নেদভেদের এজেন্ট হিসেবে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে ফুটবল বিশ্বে। ১৯৯৬ সালে তার হাত ধরেই স্পার্তা প্রাগ থেকে ল্যাজিওতে পাড়ি জমিয়েছিলেন নেদভেদ। তার অধীনে সবচেয়ে বড় দলবদলটা হয়েছিল ২০১৬ সালে। ১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি অর্থে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমিয়েছিলেন তার মক্কেল পল পগবা।

আর্লিং হালান্ডের দলবদল দিয়ে শেষ কিছু দিনে আলোড়ন ফেলে দিচ্ছিলেন ইউরোপীয় ফুটবলে। তবে সবচেয়ে বড় চমকটা আসে গত ২৮ এপ্রিল। ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, রাইয়োলা আর নেই। এরপর অবশ্য তার টুইটারে জানানো হয়, সেসব গুঞ্জন, যার কোনো সত্যতা নেই। এবার সেই অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকেই জানানো হলো রাইয়োলার মৃত্যুর খবর।

এনইউ