চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ যেন রীতিমতো ধরাছোঁয়ার বাইরে। শেষ ষোলো থেকে সেমিফাইনাল, প্রত্যেক রাউন্ডের ফিরতি লেগেই নির্ধারিত ৯০ মিনিটের শেষ আধঘণ্টায় দলটিকে চোখরাঙানি দিচ্ছিল বিদায়ের শঙ্কা। তবে কার্লো অ্যানচেলত্তির দল প্রত্যেক বারই পাশার দান উলটে দিয়ে চলে গেছে পরের রাউন্ডে। শেষবার গত রাতের সেমিফাইনালে ম্যানসিটিকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। তাতে রেকর্ড ১৭তম বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে দলটির। 

শেষ ষোলো কিংবা কোয়ার্টার ফাইনালের চেয়ে সেমিফাইনালটাই রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে বেশি। সান্তিয়াগো বার্নাবিউতে যে রিয়াল মাদ্রিদ ৯০ মিনিটের সময়ও পিছিয়ে ছিল ২ গোলে। এমন অবস্থা থেকে রিয়াল মাদ্রিদ এভাবে ফিরে আসবে, সেটা কল্পনা করেননি হয়তো পাঁড় ভক্তরাও। স্টেডিয়াম থেকে যে ৮০ মিনিটেই গ্যালারি ছেড়েছিলেন বেশ কিছু সমর্থক! সেটা শুধু ভক্তদের ক্ষেত্রেই হয়নি, রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সাবেক অধিনায়ক লিওনেল মেসিরও যে বিশ্বাস হয়নি! এমন চমকপ্রদ খবর জানিয়েছেন তার বন্ধু ও সাবেক জাতীয় দল সতীর্থ সার্জিও আগুয়েরো।

মেসির বর্তমান দল পিএসজিও রিয়ালের এমন প্রত্যাবর্তনের কবলে পড়েছিল। শেষ ষোলোয় প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয়, রিয়ালের মাঠে প্রথমার্ধে গোল করে পিএসজি ছিল সামগ্রিকভাবে ২-০ গোলে এগিয়ে। তখনই হ্যাটট্রিক করে মেসিদের উৎসবকে থামিয়ে তাদের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন কারিম বেনজেমা।

রিয়াল পরের দুই রাউন্ডেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। চেলসির বিপক্ষে সামগ্রিক লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ দিকের ঝড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করেন বেনজেমারা। 

গত রাতেও পিছিয়ে ছিল দুই গোলে। ৯০ আর ৯১ মিনিটের দুই গোল আর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের পেনাল্টিতে মেসির সাবেক গুরু পেপ গার্দিওলারও সর্বনাশ করে রিয়াল। 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে বেশিবারের বিজয়ীদের এমন পারফর্ম্যান্স হতবাক করেছে মেসিকেও। শুধু তিনিই নন অবশ্য, তার সাবেক জাতীয় দল সতীর্থ কার্লোস তেভেজ আর আগুয়েরোও অবাক হয়েছিলেন বেশ। সাবেক দুই ম্যানসিটি ফরোয়ার্ডকে গত রাতে ডেকেছিল স্টার প্লাস। সেখানেই তারা প্রতিক্রিয়া দেখান।

তারই এক পর্যায়ে আগুয়েরো বলেন, ‘সে আমাকে সেখানেই উত্তর দিয়েছে।’ তেভেজ জিজ্ঞেস করেন কী বলেছিলেন মেসি। তার উত্তরে আগুয়েরো বলেন, ‘এটা একটা কৌতুক, এটা হতেই পারে না!’

এনইউ