চলটাই এমন, একজন শীর্ষ মানের খেলোয়াড় তার ফুটবল ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটাবেন ইউরোপের কোনো ক্লাবে। আর ক্যারিয়ার সায়াহ্নে তার জায়গা হবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে। তাই এমএলএসকে ‘ফুটবলারদের বৃদ্ধাশ্রম’ বলেও টীকাটিপ্পনী কম কাটা হয় না। সেই মেজর লিগ সকারেই যাচ্ছেন লিওনেল মেসি, খবর ছড়িয়েছে এমনই! 

আমেরিকার ডিরেক্টিভির সাংবাদিক অ্যালেক্স ক্যান্ডাল জানিয়েছেন এই খবর। তিনি জানাচ্ছেন, পিএসজির সঙ্গে তার চুক্তিটা শেষ হবে আগামী বছর জুনে। এরপরই তিনি ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দেবেন মেজর লিগ সকারে। সেখানে তার নতুন ঠিকানা হবে ডেভিড বেকহ্যামের দল ইন্টার মিয়ামিতে।

চাঞ্চল্যকর এই খবর অবশ্য এখানেই শেষ হচ্ছে না। আরএমসি স্পোর্ত জানাচ্ছে, ইন্টার মিয়ামির ৩৫ শতাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজি সত্ত্ব কেনার প্রক্রিয়ায় আছেন মেসি। আগামী মৌসুমে সেই দলে যখন যোগ দেবেন মেসি, তার অনেক আগেই তার ফ্র্যাঞ্চাইজি সত্ত্ব কেনার বিষয়ে আসবে ঘোষণা। 

ক্যান্ডাল জানাচ্ছেন, মেসির জন্য চুক্তি ইতোমধ্যেই লিখে ফেলেছে ইন্টার মিয়ামি। সেখানে কেবল বাকি আছে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের স্বাক্ষরটাই।

২০২০ সালে এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছিলেন, ‘আমি সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রে জীবনের একটা সময় কাটাতে চেয়েছি, তাদের লিগে খেলতে চেয়েছি। তবে আমি জানি না এটা এখন না কখন হবে।’ স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো এর আগে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ বিচ ডিস্ট্রিক্টে মেসি এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন ২০১৯ সালে। যদিও গেল বছর খবর আসে, সেটা বিক্রি করে দিতে হয়েছে তাকে।

এছাড়াও ২০২০ সালের পর মেসির জীবন বদলে গেছে অনেকটাই। সে বছর বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চেয়েছিলেন, শেষমেশ অবশ্য তাকে রেখে দিতে পেরেছিল বার্সা। পরের বছর ছাড়তে না চাইলেও লা লিগার নিয়মের বেড়াজালে ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল। তাকে যোগ দিতে হয়েছে পিএসজিতে।

এরপর শোনা যায়, মেসি তার সেই যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলার ইচ্ছা থেকে সরে এসেছেন, এখন ক্যারিয়ারটা শেষ করতে চান বার্সেলোনায় ফিরেই। বিষয়টা আরও পরিষ্কার হয় বছরের শুরুতে স্পোর্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, যেখানে মেসি বলেন, বার্সেলোনাতে ফিরতে চান কোনো একটা সময়। দিনদুয়েক আগে তার বাবাও যখন একই কথা বললেন, তখন গুঞ্জনের মাত্রা বাড়ে আরও।

তবে এরপরই এলো এই খবর। তবে তার এমএলএসে যোগ দেওয়ার এই খবর সত্যি, নাকি বার্সেলোনাতে ফিরেই মেসি শেষ করবেন নিজের ক্যারিয়ার, না অন্য কোথায় হবে তার ভবিষ্যৎ, এই প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও এক বছর।

এনইউ/এটি