পুরো মৌসুমে মাত্র চার ম্যাচ জিতে চেন্নাই সুপার কিংস সব সমীকরণের বাইরে চলে গিয়েছিল অনেক আগেই। গত রাতের ম্যাচটা তাই ছিল শুধু রাজস্থান রয়্যালসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই ম্যাচের শুরুতে ঝড় বইয়ে দিয়ে রেকর্ড গড়ে রাজস্থানকে রীতিমতো শঙ্কাতেই ফেলে দিয়েছিলেন মঈন আলি। তবে অলরাউন্ডার অশ্বিনে রাজস্থান তা সামলেছে ভালোভাবেই। চেন্নাইকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেরা দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ার ১-এ খেলা নিশ্চিত করেছে দলটি।

টসভাগ্য হেসেছিল চেন্নাইয়ের পক্ষে। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি নিয়েছিলেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। পাওয়ারপ্লের শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে চেন্নাই। রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে প্রথম ওভারে হারানোর পরই অবশ্য ঝড়ের কবলে পড়ে রাজস্থান।

তিনে নামা মঈন রীতিমতো তাণ্ডব বইয়ে দেন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর। শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণের মেজাজে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের ওপর দিয়ে গেল বড় ঝড়টা। ওভারের ছয়টি বলই সীমানাছাড়া করলেন, তুললেন ২৬ রান। তাতে পাওয়ারপ্লেতেই চেন্নাই তুলে ফেলে ৭৫ রান। ১৯ বলে ফিফটি করে চেন্নাইয়ের হয়ে দ্রুততম ফিফটি করা বিদেশী খেলোয়াড় বনে যান মঈন। তাতে চেন্নাই আভাস দিচ্ছিল বড় রানের পাহাড়ে রাজস্থানকে চাপা দেওয়ার। 

তবে পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই যেন চেন্নাই চুপসে যায় ফাটা বেলুনের মতো। নবম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফেরান ডেভন কনওয়েকে। মঈন-কনওয়ের জুটি ভাঙতেই রানের চাকায় লাগাম পড়ে চেন্নাইয়ের। ফলে প্রথম ছয় ওভারে ৭৫ তোলা দলটা পরের ১৪ ওভারে তোলে সমান রান। শুরুতে ঝড় তোলা মঈনও ইনিংস শেষ করেন ৫৭ বলে ৯৩ রান নিয়ে। তার পরে দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন কেবল ধোনি, তবে তিনিও ২৬ রানের ইনিংসের পথে খেলেছেন ২৮টি বল।

তাতে চেন্নাই কেবল ১৫১ রানের লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিতে পারে রাজস্থানের সামনে। জবাবে শুরুতে জস বাটলারকে হারালেও জশস্বী জেসওয়ালের ৪৪ বলে ৫৯ জয়ের পথেই রেখেছিল অশ্বিনদের। অপরপ্রান্তে অবশ্য উইকেট যাচ্ছিল পাল্লা দিয়েই। জেসওয়াল যখন ফিরলেন, দলের রান তখন ১০৪; তখনো ৩১ বলে ৪৭ রান প্রয়োজন ছিল রাজস্থানের। 

বল হাতে দারুণভাবে চেন্নাইকে আটকে রাখা অশ্বিন এরপর জ্বলে ওঠেন ব্যাট হাতে। ২৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে দুই বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় রাজস্থান। এর ফলে ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএল তালিকার দুইয়ে উঠে আসে দলটি। তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলাও।

এনইউ