এএফসি কাপের গ্রুপ ডি’র চ্যাম্পিয়ন হতে আজ মঙ্গলবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিজেদের জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের। কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কিংস ২-১ গোলে গোকুলাম কেরালাকে হারিয়েছে।  এই ফলাফলের পর ভারতের গোকুলাম কেরালা ও মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। গ্রুপ সেরা হওয়ার দৌড়টা এখন বাংলাদেশের কিংস ও ভারতের মোহনবাগানের মধ্যে।

এই জয়ে তিন ম্যাচ শেষে কিংসের পয়েন্ট ৬। আজ রাতের ম্যাচে মোহনবাগান মাজিয়ার বিরুদ্ধে পয়েন্ট হারালেই কেবল বাংলাদেশের ক্লাবটি এএফসির আঞ্চলিক পর্বের প্লে অফ খেলতে পারবে। মোহনবাগান যদি মালদ্বীপের মাজিয়াকে হারিয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে কিংস ও মোহনবাগানের পয়েন্ট সমান ৬ হবে তখন হেড টু হেডে মোহনবাগান পরের পর্বে খেলবে। মাজিয়া মোহনবাগানকে হারালে তাদেরও ৬ পয়েন্ট হবে কিন্তু কিংস মাজিয়াকে হারানোয় হেড টু হেডে কিংস পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে। 

আগের ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে ০-৪ গোলে হেরে বিধ্বস্ত হওয়া বসুন্ধরা কিংস আজ স্বাভাবিক ছন্দেই ছিল। একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনেন কোচ অস্কার। প্রথম ম্যাচের জয়সূচক গোলদাতা নুহা মুরংকে একাদশে আনেন। নুহা আজও গোল করেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে নয় মিনিটে নুহা রবসনের ক্রসে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে হেড করে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। অধিনায়ক রবসন ছিলেন দ্বিতীয় গোলের যোগানদাতা আর প্রথম গোল নিজেই করেছেন। প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত এক কোণাকুনি শটে দলকে প্রথম গোল এনে দেন। 

মোহনবাগানকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করা গোকুলাম কেরালা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে প্রায়ই। ৭৪ মিনিটে এক সংঘবদ্ধ আক্রমণে একটি গোল পরিশোধ করে। ডান প্রান্ত থেকে বক্সের মধ্যে ফেলা ক্রসে কেরালার জর্ডেইন ফ্লেচার আনমার্কড ছিলেন। দ্রুত তার জোরালো গতির নেয়া শট কিংসের গোলরক্ষক জিকো সেভ করতে পারেননি। ম্যাচের বাকি সময় কেরালার দলটি সমতা আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। 

কিংস পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেও জয়ের আনন্দ করতে পারেনি কারণ রাতে মোহনবাগান জিতলে বাংলাদেশের ক্লাবটির বিদায় ঘণ্টা বাজবে। 

এজেড/এটি